রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং

সির রাশিয়া সফরে শান্তির প্রত্যাশা

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতি অর্জনের আশায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং আজ সোমবার মস্কো সফর করছেন। এ সফরে চীনকে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরার লক্ষ্য তাঁর। সম্প্রতি তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সি। বৈশ্বিক মঞ্চে চীনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় তুলে আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চলমান বিবাদ মেটাতে মধ্যস্থতা করে সফল হয়েছে বেইজিং

সি চিন পিং তাঁর মস্কো সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ভার্চ্যুয়ালি কথা বলতে পারেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর আশা, তিন দিনের এই সফরে সি তাঁর পুরোনো বন্ধু পুতিনকেও রক্তক্ষয়ী এ লড়াই বন্ধ করার জন্য রাজি করাতে পারেন।

বেইজিংয়ের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ওয়াং ইয়িওয়েই বলেন, যুদ্ধ বন্ধ হোক, তা সবার প্রত্যাশা। বিশেষ করে যুদ্ধ বন্ধ না হলে ইউরোপকে অনেক কিছু হারাতে হবে। যুদ্ধে যত দিন প্রয়োজন, তত দিন ইউক্রেনকে সাহায্য করার যে কথা যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, তারাও প্রকৃতপক্ষে সমর্থন চালিয়ে যেতে পারবে না। চীন উভয় পক্ষের আস্থা অর্জন করতে পারে। তারা ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ের বন্ধু হতে পারে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হলেও চীনের পক্ষ থেকে সংঘর্ষে নিরপেক্ষ থাকার কথা বলা হচ্ছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনায় নিন্দা জানায়নি বেইজিং। এতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়েছে। পশ্চিমাদের আশঙ্কা, রাশিয়াকে কূটনৈতিক ছায়া দিচ্ছে বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির চীনা বৈদেশিক নীতি বিশেষজ্ঞ এলিজাবেথ উইশনিক বলেন, ইউক্রেনে শান্তিপ্রক্রিয়ায় উৎসাহ দিতে বেইজিং যা করেছে, তা খুবই কম। তারা যদি রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সরে আসতে বলে, তবেই কেবল তা বিশ্বাসযোগ্য প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য হবে।