সম্প্রতি প্রদেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পিংজিয়াং কাউন্টিতে এই সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে।
চীনের হুনান প্রদেশে একটি সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে গবেষকদের ধারণা, খনিটিতে এক হাজার টন সোনা মজুত রয়েছে। বলা হচ্ছে, এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি এটি।
হুনানের জিওলজিক্যাল ব্যুরো জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রদেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় পিংজিয়াং কাউন্টিতে এই সোনার খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে যে পরিমাণ সোনা মজুত আছে তার দাম আনুমানিক ৬০০ বিলিয়ন ইউয়ান। মজুতের দিক থেকে এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি হতে পারে। এর আগে আবিষ্কৃত খনিগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ খনিতে সর্বোচ্চ ৯৩০ টন সোনা পাওয়া গেছে।
খননের কাজে যুক্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে, খনির দুই হাজার মিটার গভীরে ৪০টি গোল্ড ভেইনস বা সোনার আকরিক স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে প্রায় ৩০ টন সোনা মজুত রয়েছে। ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দেখা গেছে, আরও গভীরে তিন হাজার মিটারে বিপুল পরিমাণ সোনা আছে। এ আবিষ্কার চীনের সোনার খাতে যেমন বড় প্রভাব ফেলবে, তেমনি এতে দেশটির খনিশিল্প ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে।
চীনের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর বিশেষজ্ঞ চেন রুলিন দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, খননের সময় অনেক জায়গায় সোনা দেখতে পেয়েছেন তাঁরা। ব্যুরোর উপপ্রধান লিউ ইয়ংজুন বলেন, ওয়াংগু নামের এই সোনার খনিতে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মতো অত্যাধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। খনিটির আশপাশেও সোনার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
সর্ববৃহৎ ১০ সোনার খনি
গবেষকদের ধারণা যদি সঠিক হয় তাহলে চীনের হুনান প্রদেশে আবিষ্কৃত এ খনিটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনার খনি। এই খনির সন্ধান পাওয়ার আগে পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ গোল্ড মাইন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি হিসেবে পরিচিত ছিল।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য সোনার খনিগুলো যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার গ্রাসবার্গ গোল্ড মাইন, রাশিয়ার অলিম্পিয়াদা গোল্ড মাইন, পাপুয়া নিউগিনির লিহির গোল্ড মাইন, চিলির নর্তে আবিয়ের্তো গোল্ড মাইন, যুক্তরাষ্ট্রের কার্লিন ট্রেন্ড গোল্ড মাইন, অস্ট্রেলিয়ার বোডিংটন গোল্ড মাইন, দক্ষিণ আফ্রিকার এমপোনেং গোল্ড মাইন, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পুয়েবলো ভিয়েজো গোল্ড মাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্তেজ গোল্ড মাইন।