শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘বুলিং’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে চীন। ওয়াশিংটন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে বলেছে, ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটির পক্ষে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কঠিন, তবে প্রয়োজনীয়। এ নিয়ে পছন্দের বিষয়টি তাদেরই নির্ধারণ করতে হবে। রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানা যায়।
আজ মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও আসার আগে কলম্বোয় অবস্থিত চীনা দূতাবাস এমন মন্তব্য করে। মাইক পম্পেও এশিয়া সফরে রয়েছেন।
গতকাল সোমবার চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র চীন ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সম্পর্কে নাক গলাচ্ছে। তারা শ্রীলঙ্কাকে হয়রানি করছে।’
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কায় অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোয় কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে তুলেছে।
চীনা দূতাবাস বলেছে, দুই হাজার বছর আগে থেকে চীন ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সম্পর্ক বিদ্যমান। সম্পর্কের শর্ত ঠিক করে দেওয়ার জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।
পম্পেওর শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ ভ্রমণকে ছোট দেশগুলোয় চীনের অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এ সফর শুরুর আগে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক পররাষ্ট্র বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ডিন থম্পসন বলেছেন, শ্রীলঙ্কাকে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় পম্পেওর সফর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে চীন। দেশটির দূতাবাস বলছে, ‘তাঁর সফর কি স্থানীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সহায়ক হবে? এতে শ্রীলঙ্কার জনগণের কি কোনো উপকার হবে?’