মাঝ আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের সফল পরীক্ষা চীনের

সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণা বাড়িয়েছে চীন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

মাঝ আকাশেই শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে চীন। ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য মধ্যপাল্লার এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার পরীক্ষায় ‘প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জিত’ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের।

সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণা বাড়িয়েছে চীন। এর মধ্যে রয়েছে মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংস করে দেওয়া থেকে শুরু করে পারমাণবিক বোমা বহনকারী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উচ্চাভিলাষী আধুনিকায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে এসব গবেষণা চলছে।

এর আগেও মাঝ আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার (ইন্টারসেপ্টর) পরীক্ষা চালিয়েছিল বেইজিং। এ ধরনের পরীক্ষার সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

২০১৮ সালেও এ ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১০ সাল থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়ে আসছে চীন। গতকাল রোববার দিনের শেষ দিকে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাঝ আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য মধ্যপাল্লার এ প্রযুক্তির পরীক্ষা ওই রাতে চালানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘এই পরীক্ষা তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে। এই পরীক্ষা আত্মরক্ষামূলক। কোনো দেশকে উদ্দেশ্য করে এ পরীক্ষা চালানো হয়নি।’ বিবৃতিতে এর বাইরে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা ‘থাড’ মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে চীন ও তার মিত্র রাশিয়া। চীনের দাবি, থাডের শক্তিশালী রাডার-ব্যবস্থা দেশটির ভূখণ্ড নজরদারির আওতায় নিতে পারে। চীন ও রাশিয়া যৌথভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের মহড়াও চালিয়েছে।

চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে খুব সামন্যই প্রকাশ্যে বলে থাকে। কেবল মাঝেমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কিংবা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে কিছু তথ্য দেওয়া হয়।