চীনের বন্যাকবলিত একটি এলাকা
চীনের বন্যাকবলিত একটি এলাকা

বন্যায় ডুবছে, আবার খরায় পুড়ছে চীন

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গোয়াংঝু এলাকায় এ সপ্তাহে প্রচণ্ড দাবদাহ, পাশাপাশি বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড়ে লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি ও কৃষিজমি তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়, দক্ষিণাঞ্চলে মুষলধারে আরও বৃষ্টি হতে পারে। এতে বিস্তীর্ণ জনবহুল এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনই লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

গত এপ্রিল মাসের শুরুতে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই চীনের কর্তৃপক্ষ চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, জুন মাসে ঋতু বদলে বসন্তের পরিবর্তে গ্রীষ্মের রূপ নিতে পারে।

ঐতিহাসিকভাবেই চীন বন্যাপ্রবণ। তবে বর্তমানে বন উজাড়, জলাভূমি ভরাট, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচের জন্য পানি জমানোর মতো কর্মকাণ্ডের কারণে বন্যার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। অধিক বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছে দেশটি।

গত সোমবার জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল গ্রহণ সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যে চীনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ব্যবস্থায় মারাত্মক বিরূপ প্রভাব নিয়ে এসেছে। সমাজ ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতে গোয়াংঝুর কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে টর্নেডো বয়ে যায়। এতে পাঁচ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ওই দিনই ফুজিয়ান প্রদেশের আবহাওয়া ব্যুরো সতর্ক করে বলেছে, রেকর্ড ভঙ্গকারী সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাত পরের সপ্তাহেও অব্যাহত থাকবে। এতে দুর্যোগের উচ্চ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। দেশটির অন্য প্রদেশেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

গোয়াংঝুতে বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়। ইতিমধ্যে হেনানেও অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বাড়তে দেখা গেছে।