চীন তার ভাবমূর্তি পুনর্নির্মাণ করে বন্ধুরাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়াতে চায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ কথা বলেছেন। দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের তিনি বলেছেন, কীভাবে বন্ধু বানানো যায়, এটা শিখতে চায় তার দেশ। এ ছাড়া কীভাবে মানুষ প্রভাবিত করা যায়, সেটাও জানতে চান সি চিন পিং।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সি চিন পিং বলেছেন, চীনের ‘বিশ্বাসযোগ্য, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাপূর্ণ’ ভাবমূর্তি তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, চীন এর মধ্য দিয়ে তার কূটনৈতিক তৎপরতার আদল বদলে ফেলতে চাইছে। তবে বিশ্লেষকেরা একে চীনের বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে বিবেচনা করছেন।
সি চিন পিং এমন সময়ে এসব কথা বললেন, যখন ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। কারণ, উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে গণতন্ত্রকামী অধিকারকর্মীদের ওপর চালানো দমন-পীড়নের কারণেও এ ধরনের অভিযোগ উঠছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সি ওই বৈঠকে আরও বলেন, ইতিবাচকভাবে দেশের বিষয়ে তথ্য দেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, দলের প্রোপাগান্ডা সংস্থাগুলোকে বিশ্বের কাছে এটা পরিষ্কার করে তুলে ধরতে হবে যে তার সরকার শুধু দেশের জনগণের মঙ্গলই চায়, আর কিছু না।
সি এমন সময়ে এই উদ্যোগ নিচ্ছেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও চীন একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।