যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তাইওয়ান ইস্যুতে ‘সঠিক ভূমিকা’ নিতে বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে বাইডেনের সঙ্গে আলাপকালে গতকাল শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল–জাজিরা এ কথা জানিয়েছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে আসছে চীন। দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি ব্যবহারের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না বেইজিং।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এর পর থেকে দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মস্কোর মিত্র বেইজিংয়ের সাহায্য চেয়ে আসছে ওয়াশিংটন। তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে তাইপেইর সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী ওয়াশিংটন।
গতকাল ভিডিও কলে বাইডেনকে সি বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তিকে ভুল বার্তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ব্যক্তি। এটা খুবই বিপজ্জনক। তিনি বলেন, যদি তাইওয়ান ইস্যুতে সঠিক ভূমিকা নেওয়া না হয়, তাহলে এটি দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে।
এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে সি’র সঙ্গে আলাপকালে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন। ওয়াশিংটন ‘বর্তমান স্থিতাবস্থায় কোনো ধরনের একপক্ষীয় পরিবর্তনের বিরোধিতা করে যাবে বলেও গুরুত্বারোপ করেন’ তিনি।
তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্থিতাবস্থা ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি তাইওয়ানের নিরাপত্তার প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানানোয় বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রাশিয়ার নিন্দা জানাতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তাইপেই।
তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে দেশটি। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় যোগ দিয়েছে এবং ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তাও পাঠিয়েছে।