তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে চীনের যুদ্ধবিমান। গতকাল মঙ্গলবার চীনের ২৮টি উড়োজাহাজ তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেনটিফিকেশন জোনে প্রবেশ করে। তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, গত বছর থেকে আকাশসীমায় চীনের অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন দিয়ে আসছে স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রতিবেদন দেওয়ার শুরুর পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা। এই বিষয়ে চীন এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে। তাই এর নিয়ন্ত্রণ নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে চীন। কিন্তু তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করে আসছে।
তাইওয়ানে এমন সময়ে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল, যখন শিল্পোন্নত শীর্ষ সাত দেশের জোট জি-৭ চীনের সমালোচনা করে চলতি সপ্তাহে সম্মেলন শেষে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা উপেক্ষা করছে চীন। যদিও চীন জি-৭-এর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।
সম্প্রতি কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার চীনের যেসব যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে জে-১৬, জে-১১ ও এইচ-৬ বোমারু বিমান। এই যুদ্ধবিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিনবিধ্বংসী ও ইলেকট্রনিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।
এতগুলো যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় এর আগে কখনো প্রবেশ করেনি। এর আগে চীনের সর্বোচ্চ ২৫টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল গত বছরের ১২ এপ্রিল।
এদিকে চীনের এমন অনুপ্রবেশের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব-এশিয়াবিষয়ক শীর্ষ কূটনৈতিক ডেনিয়েল ক্রিটেনব্রিংক বলেছেন, তাইওয়ানের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সম্পর্কের উন্নয়ন করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর সম্প্রতি হঠাৎ করে চীনবিরোধী কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। সম্প্রতি জি-৭ সম্মেলন থেকে যেমন চীনের সমালোচনা করা হয়েছে তেমনি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোও চীনের সমালোচনা করেছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা বলেছেন, চীন তাদের পরমাণু শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে চীন তাদের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন করছে।