চীনে মোট জনসংখ্যার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন। রোববার সংবাদ সম্মেলনে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং জানিয়েছেন, ২৩ অক্টোবর নাগাদ ১০৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন। চীনের মোট জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ২০ লাখ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারি হিসাবে দেখা গেছে, সাধারণত প্রত্যেককে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হলেও প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত একটি বুস্টার ডোজ দিচ্ছে চীন। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যাঁরা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার পর ছয় মাস পেরিয়ে গেছে, তাঁদের এ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, বৃদ্ধ মানুষ এবং কম প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন মানুষদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
রোববার সংবাদ সম্মেলনে চীনের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধকেন্দ্রের গবেষক ওয়াং হুয়াকিংও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘চীন জনগণকে এভাবে বুস্টার ডোজের পর বুস্টার ডোজ দিয়ে যাবে না। আরও কার্যকর টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। আমাদের আশা, এমন একটি আদর্শ টিকার ডোজ তৈরি করতে হবে, যাতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তৈরির পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা থাকবে এবং তা খুব কার্যকর হবে।’ ওয়াং আরও বলেন, জনগণের মধ্যে দৃঢ়ভাবে সুরক্ষাবলয় তৈরি করতে ভবিষ্যতে অপেক্ষাকৃত কার্যকর টিকা ও টিকাপদ্ধতি আনা যাবে বলে আমরা আশা করি।’
বেশির ভাগ এলাকায় ভাইরাসের প্রকোপ অনেকখানি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন। রোববার জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং সতর্ক করে বলেন, চীনে নতুন করে প্রকোপ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। ১১টি প্রাদেশিক এলাকায় সপ্তাহে ১০০–এর বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এ হার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।