জাপান সে দেশের নাগরিকদের চীনে প্রবেশের সময় পায়ুপথে করোনা পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। দূতাবাসের মাধ্যমে বেইজিংকে এ ধরনের পরীক্ষা বন্ধে আহ্বান জানায় জাপান। এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বেইজিং।
চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বিবিসির আজ মঙ্গলবারের খবরে জানা যায়, এ বছরের জানুয়ারি মাসে কিছু ক্ষেত্রে পায়ুপথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে চীন করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষা চালিয়েছে।
জাপানের কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের পরীক্ষা ‘মানসিকভাবে পীড়াদায়ক’।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মার্কিন কূটনীতিকদেরও পায়ুপথে করোনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে—এমন কথা বলেছিল বেইজিং। গত সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি অস্বীকার করে চীন।
জাপানের মন্ত্রিপরিষদের প্রধান কাতসু নবু কাতো বলেন, ‘পায়ুপথে করোনা পরীক্ষার পর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন বলে জাপানি নাগরিকেরা দূতাবাসে অভিযোগ করেছেন।’ তিনি জানান, ‘কতজন জাপানি নাগরিককে এ ধরনের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, চীনে ভ্রমণের সময় বা কোয়ারেন্টিনে থাকাকালে জাপানিদের এ ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে।
বিশ্বের আর কোথাও এ ধরনের পরীক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
চীনের কিছু শহরে পায়ুপথে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু হয়। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মাধ্যমে সংক্রমিত লোকদের শনাক্তের হার আরও বাড়বে।
শুরুতে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, এই পরীক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও বিতর্ক দেখা গিয়েছিল। এভাবে করোনা পরীক্ষা অনেক কম কার্যকর বলেও মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।