করোনার উৎস খুঁজতে দ্রুত চীনে যাবে ডব্লিউএইচও

সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস
রয়টার্স ফাইল ছবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে গবেষণা করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চীন সফর করতে চায়। সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এ কথা বলেছেন। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে তেদরোস বলেছেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজের নামার আশা করছি।’

এর আগে ডিসেম্বরের শুরুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগ সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য উৎস বের করার সব চেষ্টা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’ ভবিষ্যতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এর উৎস জানা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তেদরোস বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনাভাইরাস-রহস্যের গভীরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

যেসব সমালোচক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে এবং চীনের বিরুদ্ধে পক্ষপাত নিয়ে কথা বলছেন, তাঁদের বিষয়টি রাজনৈতিকীকরণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘সংস্থাটির অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা ভাইরাসটির উৎস জানতে চাই। কারণ, ভবিষ্যতের বিস্তার ঠেকাতে তা সাহায্য করতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কঠোর সমালোচনা করেছে এবং সংস্থাটি চীনের তাঁবেদারি করছে বলে অভিযোগ করেছে। তারা করোনার উৎস অনুসন্ধানের তদন্তের দাবি করে আসছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কয়েক মাস ধরেই চীনে আন্তর্জাতিক গবেষকেদের একটি দল পাঠাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশটিতে কোন প্রাণী থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি ঘটেছে এবং কীভাবে মানুষের ক্ষেত্রে ছড়িয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে চায় সংস্থাটি।

গত জুলাই মাসে গবেষকদের একটি দল আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে বেইজিং সফর করেছিল। গবেষকদের বড় দলটি কবে নাগাদ চীনে যাবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব চীনে আন্তর্জাতিক গবেষক দল পাঠানোর আশা করা যাচ্ছে।

এ তদন্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন তেদরোস। তিনি বলেছেন, ‘গবেষক দল ও তদন্তের শর্তাবলি জনগণের জন্য উন্মুক্ত। এখানে লুকোছাপার কিছু নেই। আমরা ভাইরাসের উৎস জানতে চাই। আমি এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি রাখতে চাই না।’

গবেষকেরা মনে করেন, উহান শহরের মাংসের বাজারের কোনো প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে এ ভাইরাস ছড়িয়েছিল।

জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৫ জন। অন্যদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেছেন ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ২৮০ জন। করোনায় সবচেয়ে ভুক্তভোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬৮ জনের। দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ জনের।