আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টির একের পর এক জনপ্রতিনিধি জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নন। সুনাক এ সপ্তাহে ঘোষণা দেন, আগামী ৪ জুলাই দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগেই গত শুক্রবার পর্যন্ত ৭৮ জন সংসদ সদস্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে ৭২ জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। কিন্তু ঋষির কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই দাবি উঠছিল, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। কারণ, গত কয়েক মাসে কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে হার অবধারিত বলেই মত দলের একটা বড় অংশের।
নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক কনজারভেটিভ এমপি জানিয়ে দেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা লড়তে চান না। সেই তালিকায় রয়েছেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-ও। এ ছাড়া অনেক সংসদ সদস্য রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন। এ পরিস্থিতিতে ৪৪ বছর বয়সী সুনাক পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটাচ্ছেন।
সর্বশেষ নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়া টরি নেতাদের তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী মাইকেল গভ ও আন্দ্রেয়া লিডসম। এ পরিস্থিতির মধ্যেই সুনাক তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন।
গতকাল সুনাকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি ৪ জুলাইয়ের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হলে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিষেবা চালু করা হবে। এতে ১৮ বছর বয়সী সবাইকে সামরিক বা জনসেবামূলক কাজে অংশ নিতে হবে।