বয়স কোনো সংখ্যা নয়। প্রমাণ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৮০ বছর বয়সী নারী চোই সুন-হাওয়া। এ বয়সে তিনি মিস ইউনিভার্স কোরিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা ১৯৫২ সালে প্রথম শুরু হওয়ার এক দশক আগে জন্ম চোইয়ের। তিনিই এখন এ প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বয়স্ক প্রতিযোগী হিসেবে রেকর্ড গড়তে পারেন।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে মিস ইউনিভার্স কোরিয়া প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের একজন হিসেবে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। আগামীকাল সোমবার তিনি ৩১ জন প্রতিযোগীর সঙ্গে সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ীর মুকুটের লড়াইয়ে নামছেন। তিনি জয়ী হলে আগামী নভেম্বরে মেক্সিকোতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে চোই বলেন, ‘আমি বিশ্বকে হতবাক করে দিতে চাই। অনেকের প্রশ্ন থাকে, ৮০ বছর বয়সী একজন কীভাবে এত সুস্থ থাকেন? কীভাবে তিনি শরীর ঠিক রাখেন বা তিনি কী ধরনের খাবার খান? সাধারণত বয়স বাড়তে থাকলে ওজন বেড়ে যায়। তাই আমি দেখাতে চাই, আমাদের বয়স হয়ে গেলেও কীভাবে আমরা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি।’
কয়েক দশক ধরেই মিস ইউনিভার্সি সংস্থাটি এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বয়সের বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছিল। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে থাকতে হতো। কিন্তু প্রতিযোগিতাকে আধুনিক করার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্তৃপক্ষ ঊর্ধ্ব-বয়সসীমা তুলে দিয়েছে। এ বছর থেকে তা কার্যকর হচ্ছে। এ বছর জাতীয় পর্যায়ে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় কানাডার ৫৮ বছর বয়সী লরিন পিটার্স ও আর্জেন্টিনায় আলেসান্দ্রা মারিসা রদ্রিগেজ অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউ নভেম্বরের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়ার জন্য বিবেচিত হননি।
কোরিয়ার মিস ইউনিভার্স আয়োজনকারীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রচারের বিষয় ছিল, স্বপ্ন দেখার জন্য বয়স কোনো বিষয় নয়। এ ছাড়া এ প্রতিযোগিতার জন্য সাঁতারের পোশাকের যে ভাগ থাকে, সেটিও বাদ দেওয়া হয়েছে।
চোই ইতিমধ্যে কোরিয়ার ফ্যাশন দুনিয়ায় পরিচিত নাম। ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত হাসপাতালে কাজ করে অবসরে যান তিনি। এরপর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে ৭২ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন তিনি। চোই বলেন, ‘আমার একজন পুরোনো রোগী আমাকে মডেলিংয়ে আসতে বলেছিল। আমি প্রথমে একে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে পুরোনো স্বপ্নপূরণের ইচ্ছার কথা মনে করে এ ক্ষেত্রে আসি।’