জোশুয়া ডবসনকে কয়েক মাস ধরে খুঁজছিল পুলিশ। অভিযোগ গাড়ি চুরির। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বহাল তবিয়তে ছিলেন জোশুয়া। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। একটি পুতুলের ভেতর থেকে তাঁকে খুঁজে বের করেছেন পুলিশ সদস্যরা। তাঁর ঠিকানা এখন কিশোর সংশোধনালয়ে।
সংবাদমাধ্যম হাফিংটন পোস্ট-এর খবরে বলা হয়, চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাজ্যের গ্রেটার ম্যানচেস্টার অঞ্চল থেকে একটি গাড়ি চুরি করেন জোশুয়া। এমনকি ওই গাড়ির জ্বালানি তেল কিনে অর্থও পরিশোধ করেননি তিনি। বিষয়টি জানার পর ১৮ বছর বয়সী এই তরুণকে ধরতে মাঠে নামে পুলিশ।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গত জুলাইয়ে একই অঞ্চলের রোচডেল শহরের একটি বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানেই অবস্থান করছিলেন জোশুয়া। গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়িতে থাকা ৫ ফুট লম্বা একটি পুতুলের (টেডি বিয়ার) ভেতর নিজেকে লুকিয়ে ফেলেন তিনি। ভেবেছিলেন, এ যাত্রায়ও হয়তো রক্ষা পাবেন।
ওই বাড়িতে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে একটি ঘরের এক কোণে পড়ে থাকা পুতুলের দিকে নজর পড়ে পুলিশ সদস্যদের। তাঁরা দেখতে পান পুতুলটি ‘শ্বাসপ্রশ্বাস’ নিচ্ছে। চট করে বুঝে ফেলেন সেটির মধ্যে কেউ লুকিয়ে আছেন। পরিণতি—ধরা পড়েন জোশুয়া।
গ্রেপ্তার করার পর ম্যানচেস্টারের আদালতে তোলা হয় জোশুয়াকে। ৫ আগস্ট আদালতের রায়ে তাঁকে ৯ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ সময়টা তাঁকে কাটাতে হবে কিশোর সংশোধনালয়ে।
এদিকে জোশুয়ার সাজা ঘোষণার পর বিষয়টি ফেসবুকে জানিয়েছে পুলিশ। সেখানে তারা বলেছে, ‘গাড়ি চুরি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো, জ্বালানির অর্থ না দিয়ে পেট্রলপাম্প থেকে পালানোর দায়ে গত সপ্তাহে জোশুয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে। আশা করি, তিনি সেখানে ভালো সময় কাটাবেন।’
ফেসবুকে পুলিশের ওই পোস্টে মজার মজার মন্তব্য করেছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘আমার এক বন্ধুও পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে একই বুদ্ধি এঁটেছিল। আর শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছিল।’