প্রতিবার রোলেক্স ঘড়ি পরলে মনে হয়, নতুন কেনা কোনো গাড়িতে প্রথমবার চড়েছি। লিংকডইনে বলা এ কথা পল থোরপের। দামি ঘড়ি নিয়ে সাংবাদিকতা করেন তিনি। সেই সঙ্গে পল অভিজাত ও দামি ঘড়ির ডিলার ও ডিজিটাল ওয়াচ ভল্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা।
পলের মতে, রোলেক্স ঘড়ি পরা সম্পদের প্রদর্শন নয়। কিংবা অন্য কাউকে দেখানোর জন্যও নয়। এটা হাতে থাকলে মনের ভেতরে একধরনের প্রশান্তি অনুভূত হয়।
বিশ্বে বিলাসবহুল হাতঘড়ির জগতে অন্যতম নাম সুইস ব্র্যান্ড রোলেক্স। ধনী ও অতিধনীদের পছন্দের অনুষঙ্গ এটি। আইকনিক নকশা ও উন্নত উপকরণ দিয়ে তৈরি রোলেক্স বিশ্বের ঘড়ির বাজারে অন্যতম বেঞ্চমার্ক হিসেবে বিবেচিত হয়। রোলেক্স এখন আভিজাত্য ও মর্যাদার প্রতীক।
খেলা ও বিনোদনজগতের তারকা থেকে শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ বা রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান থেকে ধর্মগুরু—অনেকের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আকাশছোঁয়া দামের রোলেক্স। তবে এই ঘড়িকে ঘিরে কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে অনেকের। পা হড়কেছেন অনেক রাজনীতিক, নীতিনির্ধারক, তারকা।
এ তালিকায় সর্বশেষ নাম লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নামও জড়িয়েছে রোলেক্স কেলেঙ্কারিতে।
১০০ বছরের বেশি সময় আগের কথা। যুক্তরাজ্যে ১৯০৫ সালে হ্যানস উইলসডর্ফ প্রতিষ্ঠা করেন ঘড়ি তৈরির একটি কোম্পানি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর শ্যালক আলফ্রেড ডেভিস। দুজনের নামের সঙ্গে মিলিয়ে কোম্পানির নাম রাখা হয় ‘উইলসডর্ফ অ্যান্ড ডেভিস’।
খেলা ও বিনোদনজগতের তারকা থেকে শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ বা রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান থেকে ধর্মগুরু—অনেকের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে আকাশছোঁয়া দামের রোলেক্স। তবে এ ঘড়িকে ঘিরে কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে অনেকের। পা হড়কেছেন অনেক রাজনীতিক, নীতিনির্ধারক, তারকা।
হ্যানস উইলসডর্ফের জন্ম জার্মানির একটি মধ্যবিত্ত, তবে সচ্ছল পরিবারে। একসময় সুইজারল্যান্ডে একটি ঘড়ি তৈরির কোম্পানিতে কাজ করেছেন। সেখানে ঘড়ি নিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করেন। পরে তা কাজে লাগান নিজের গড়ে তোলা কোম্পানিতে।
যদিও কোম্পানির নাম নিয়ে শুরু থেকেই বেশ খুঁতখুঁতে ছিলেন হ্যানস উইলসডর্ফ। নামটা পছন্দ হচ্ছিল না তাঁর। তাই ১৯০৮ সালে কোম্পানির নাম বদলে রাখেন ‘রোলেক্স’। সেই থেকে হ্যানস উইলসডর্ফের কোম্পানি এ নামেই চলছে।
শুরুতে যুক্তরাজ্যে ছিল রোলেক্সের কারখানার দপ্তর। ১৯১৫ সালে যুক্তরাজ্য সরকার ঘড়ির ওপর ৩৩ শতাংশ আবগারি শুল্ক আরোপ করে। এরপর হ্যানস উইলসডর্ফ রোলেক্সের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডে সরিয়ে নেন।
রোলেক্সের দাম আকাশছোঁয়া। মডেলভেদে একেকটি ঘড়ির দাম কয়েক হাজার ডলার থেকে কয়েক লাখ, এমনকি কোটি ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানাচ্ছে দ্য ওয়াচ কোম্পানি। বাংলাদেশি মুদ্রায় একেকটি রোলেক্স ঘড়ি কিনতে গুনতে হয় লাখ থেকে কোটি টাকা।
রোলেক্সের দাম আকাশছোঁয়া। মডেলভেদে একেকটি ঘড়ির দাম কয়েক হাজার ডলার থেকে কয়েক লাখ, এমনকি কোটি ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানাচ্ছে দ্য ওয়াচ কোম্পানি। বাংলাদেশি মুদ্রায় একেকটি রোলেক্স ঘড়ি কিনতে গুনতে হয় লাখ থেকে কোটি টাকা।
বিভিন্ন সময়ে সাবমেরিনার, ডেটজাস্ট, টুডোর, জিএমটি মাস্টার, ডেটোনা, ডে-ডেট, মিলগাউসসহ বহু মডেলের ও বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি ঘড়ি উপহার দিয়েছে রোলেক্স। এসব ঘড়ি বেশ জনপ্রিয় ছিল। যেমন ১৯৬২ সালে ‘রোলেক্স সাবমেরিনার’ নামের বিশেষ ডাইভিং ঘড়িটি পরে ‘জেমস বন্ড’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা শন কনরি।
রোলেক্সের পল নিউম্যান কসমোগ্রাফ ডেটোনা নামে একটি ঘড়ি আছে। একে রোলেক্সের ডেটোনা মডেলের সবচেয়ে দামি ঘড়িগুলোর একটি ধরা হয়। দাম ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ ডলার। বর্তমানে অন্যতম দামি মডেলের একটি রোলেক্স জিএমটি মাস্টার টু আইস। এটি ১৮ ক্যারেট সাদা সোনা ও প্রায় ৩০ ক্যারেটের হীরা দিয়ে তৈরি; যার দাম শুরু হয় ৫ কোটি টাকার ওপরে।
ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকার সময় বেআইনিভাবে তাঁরা রাষ্ট্রীয় উপহার বেচাকেনা করেছিলেন। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব উপহারের মধ্যে ছিল দামি সুগন্ধি, হীরার অলংকার, ডিনার সেট, কাফলিং। এ তালিকায় আরও ছিল সাতটি বিলাসবহুল ঘড়ি। এর মধ্যে ছয়টিই রোলেক্স ঘড়ি। সবচেয়ে দামি ঘড়িটি মাস্টার গ্রাফ মডেলের। দাম তিন লাখ ডলার।
৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে পাওয়া যায় রোলেক্সের ডালটন মডেলের একেকটি ঘড়ি। রোলেক্স ওয়েস্টার ডেট মডেলের ঘড়ি কিনতে গুনতে হবে তিন হাজার ডলার। ওয়েস্টার পারপেচুয়াল ডেট মডেলের ৩৪ মিলিমিটার ভিন্টেজ ঘড়ির দাম ২ হাজার ৫০০ ডলার।
আগেই বলা হয়েছে, রোলেক্সের নকশা আইকনিক। মান বেশ উন্নত। এ জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তারকাদের কাছে এর কাটতি ভিন্ন রকম। তবে শুরুতে ভিন্ন একটি কারণে রোলেক্স বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সেটা হলো বিশ্বে প্রথমবারের মতো পানিপ্রতিরোধী বা ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি তৈরি করে রোলেক্স। ফলে বাজারে এটা দ্রুত জনপ্রিয় হয়।
হ্যানস উইলসডর্ফ ছিলেন দূরদর্শী। তিনি যখন ঘড়ি তৈরির কোম্পানির যাত্রা শুরু করেন, তখন পকেটঘড়ির প্রচলন ছিল বেশি। তবে হ্যানস উইলসডর্ফ বুঝতে পেরেছিলেন, বেশি দিন এই চল থাকবে না। জনপ্রিয় হবে হাতঘড়ির ব্যবহার। এ ভাবনা থেকেই চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হন তিনি। পরের সময় ইতিহাস গড়ার। রোলেক্স এখন বিশ্বখ্যাত একটি প্রতিষ্ঠান।
দ্য ওয়াচ কোম্পানি বলছে, রোলেক্সের আভিজাত্যের আরও কিছু কারণ রয়েছে। এসব ঘড়িতে উন্নত মানের ইস্পাত ব্যবহার করা হয়। কিছু মডেলে ব্যবহার করা হয় সোনা, হীরা, প্লাটিনামের মতো দামি ধাতু। রোলেক্সের প্রযুক্তি আর পানিপ্রতিরোধী–ব্যবস্থা বিশ্বমানের।
রোলেক্সের ওয়েবসাইটে বলা আছে, কোম্পানিটি সবার সাধ্যের মধ্যে ঘড়ি তৈরি ও বিক্রি করতে চায়। তবে উপকরণ, উৎপাদনপ্রক্রিয়া ও আভিজাত্য বিবেচনায় ঘড়ির দাম বেশি হয়।
বিভিন্ন খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনীতিক, তারকা, সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, ধনকুবের—কে নেই রোলেক্সের ভোক্তা তালিকায়। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে বিভিন্ন সময় রোলেক্স ঘড়ি দেখা গেছে।
রোলেক্স ঘড়ি ব্যবহারকারীদের তালিকায় আছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ ও পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের নাম।
টেনিস তারকা রজার ফেদেরার, বিশ্বখ্যাত ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের হাতেও বিভিন্ন সময় রোলেক্স ঘড়ি দেখা গেছে। জানা গেছে, তিব্বতের ধর্মীয় গুরু দালাই লামার পছন্দের তালিকায় আছে দামি রোলেক্স ঘড়ি।
সময়টা গত ২৯ মার্চ। লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের বাড়িতে টানা সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালান দেশটির পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা। পরদিন তল্লাশি চালানো হয় তাঁর সরকারি প্রাসাদে। দিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিলাসবহুল কয়েকটি ঘড়ির তথ্য গোপন করেছেন তিনি। এগুলো রোলেক্সের ঘড়ি।
গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে লা এনসাররোনা নামের একটি গণমাধ্যম বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে বিলাসবহুল ঘড়ি পরা দিনা বলুয়ার্তের একাধিক ছবি প্রকাশ করে। ছবিগুলো ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পরের সময়কার। ওই মাসেই ৬১ বছর বয়সী দিনা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন।
পেরুর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট দিনা। ঘড়ি নিয়ে তথ্য গোপন ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর পদত্যাগের দাবি উঠেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিনা। পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়ে দিনা বলেছেন, বিলাসবহুল ঘড়িগুলো তিনি একজন বন্ধুর কাছ থেকে ধার হিসেবে নিয়েছেন। যদিও ধার নেওয়াটা ঠিক হয়নি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে দেশটির একটি আদালত ইমরান-বুশরাকে সাজা দেন।
ইমরান-বুশরার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতায় থাকার সময় বেআইনিভাবে তাঁরা রাষ্ট্রীয় উপহার বেচাকেনা করেছিলেন। পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব উপহারের মধ্যে ছিল দামি সুগন্ধি, হীরার অলংকার, ডিনার সেট, কাফলিং। এ তালিকায় আরও ছিল সাতটি বিলাসবহুল ঘড়ি। এর মধ্যে ছয়টিই রোলেক্স ঘড়ি। সবচেয়ে দামি ঘড়িটি মাস্টার গ্রাফ মডেলের। দাম তিন লাখ ডলার।
২০২৩ সালের শুরুর দিকের ঘটনা। ফ্রান্সে তখন সরকারি কর্মীদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করার প্রস্তাব নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও বিক্ষোভ চলছিল। চাপে ছিল প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সরকার।
ওই সময় একটি টিভি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন মাখোঁ। তখন মাখোঁর হাতে রোলেক্সের একটি দামি ঘড়ি দেখা যায়। সাক্ষাৎকার চলাকালে মাখোঁ তাঁর হাত টেবিলের নিচে নিয়ে যান। এরপর আর ঘড়িটি দেখা যায়নি।
এ ঘটনায় তুমুল সমালোচনা হয়। অনেকে বলেন, সেটা লাখো ইউরোর অভিজাত একটি ঘড়ি ছিল। মাখোঁ দর্শকদের সেটা দেখাতে চাননি বলে অনুষ্ঠানের মধ্যে খুলে ফেলেছেন।
যদিও পরে ফরাসি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, মাখোঁর ওই ঘড়ি ছিল রোলেক্সের। দাম ২ হাজার ৪০০ ইউরো।
দামি ঘড়ি নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে পোল্যান্ডের সাবেক পরিবহনমন্ত্রী স্লাওমির নোয়াকের বিরুদ্ধে। ওই ঘড়ির দাম ছিল পাঁচ হাজার ইউরো। সমালোচনার মুখে ২০১৩ সালে পদত্যাগ করেন এই মন্ত্রী। ঘড়ি-বিতর্কে নাম জড়ায় দেশটির তখনকার প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কেরও।
২০২০ সাল। সংবাদমাধ্যমে কথা বলছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তখন তাঁর হাতে রোলেক্সের একটি ঘড়ি দেখা যায়। ঘড়িটির দাম ৬ লাখ ২০ হাজার ডলার। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
শুধু কি পেসকভ, ঘড়ি-বিতর্কে নাম লেখান রাশিয়ার অর্থোডক্স গির্জার প্রধান প্যাট্রিয়ার্চ কিরিলি। ২০১২ সালে প্রকাশিত এক ছবিতে তাঁর হাতে ৩০ হাজার ডলার দামের একটি ঘড়ি দেখা যায়। পরে অর্থোডক্স গির্জা বিবৃতি দিয়ে জানায়, ওই ছবি ভুয়া। এডিট করে ঘড়িটি বসিয়েছে কেউ।
পরে ২০২০ সালে আবারও কিরিলির এমন একটি ‘এডিট করা’ ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। এবারের ঘড়িটির দাম ছিল ১৬ হাজার ডলার। তবে বারবার কেন ঘড়ি নিয়ে এমন বিতর্কে কিরিলির মতো একজন ধর্মগুরুর নাম আসছে, সেটা স্পষ্ট নয়।
রোলেক্সের দামি ঘড়ি পরে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন জার্মানির বার্লিনের আঞ্চলিক সরকারের সাবেক মন্ত্রী সুসান চেবলি ও দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার।
পল থোরপের একটি কথা দিয়ে লেখা শুরু করা হয়েছিল। শেষটাও হোক তাঁর কথায়। পল বলেন, ‘স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি, রোলেক্স ঘড়ি প্রয়োজনের জিনিস নয়। এটা বিলাসী পণ্য। শখের জিনিস। আমার জীবনবোধ খুবই সোজাসাপটা। শখের জিনিসটি যদি কেনার সামর্থ্য থাকে, তাহলে কিনে ফেলুন। হোক না সেটা রোলেক্সের কোনো ঘড়ি।’
তথ্যসূত্র: লাক্সারি একাডেমি, ফার্স্টপোস্ট, দ্য ওয়াচ কোম্পানি, আল-জাজিরা ও রোলেক্সের ওয়েবসাইট