দ্রুত কলেরা শনাক্ত কর্মসূচি বিশ্বের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি দেশে চালু হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর সহযোগীরা গতকাল শুক্রবার বলেছে, কলেরা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে। সবার আগে দ্রুত কলেরা পরীক্ষার সরঞ্জাম (কিট) পাচ্ছে মালাবি।
কলেরার প্রাদুর্ভাব শনাক্তকরণের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী একটি কর্মসূচি চালুর উদ্যোগ হিসেবে ১৪টি দেশ বেছে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ১৪টি দেশে ১২ লাখ পরীক্ষা করা হবে। যেসব দেশে এ সরঞ্জাম দেওয়া হবে, তার মধ্যে সম্প্রতি কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া কয়েকটি দেশও রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশ হচ্ছে ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও জাম্বিয়া।
দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘটে। ডায়রিয়া ও বমি এর প্রাথমিক লক্ষণ। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক আকারে দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে যৌথভাবে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আরও রয়েছে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন (জিএভিআই) ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। এ ছাড়া গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোলও এতে সহযোগিতা করছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া দেশগুলো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কলেরা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে এবং এতে নজরদারি রাখবে।
জিএভিআইয়ের প্রধান কর্মসূচি কর্মকর্তা অরেলিয়া নিউয়েন বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাপী কলেরার ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরে অভূতপূর্ব কলেরার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে দেখছি। আজকের ঘোষণা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘটে। ডায়রিয়া ও বমি এর প্রাথমিক লক্ষণ। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক আকারে দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ৪ লাখ ৭৩ হাজার কলেরা রোগী শনাক্ত হয় যা তার আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। গত বছর প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ৭ লাখের বেশি কলেরা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে কলেরার টিকার ব্যাপক চাহিদা বেড়ে গেছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কলেরার টিকার চাহিদা আট গুণ বেড়েছে। এতে বৈশ্বিক টিকার সংকট তৈরি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত মাসে এ সংকট দূর করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।