কোকাং অঞ্চলের রাজধানী লাউক্কাই। ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯
কোকাং অঞ্চলের রাজধানী লাউক্কাই। ৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯

সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষ

মিয়ানমার থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরতে বলল চীন

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের কোকাং অঞ্চলের লাউক্কাই জেলায় নিরাপত্তা ঝুঁবি বেড়ে যাওয়ায় সেখানে থাকা চীনের নাগরিকদের সরে যেতে বলেছে মিয়ানমারে থাকা চীনের দূতাবাস। জেলাটির সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে। এই জেলায় জান্তা ও সংখ্যালঘু সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে।

মিয়ানমারে থাকা চীনের দূতাবাস আজ বৃহস্পতিবার তাদের উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে বলেছে, লাউক্কাই জেলায় সংঘর্ষ চলছেই। সেখানে থাকা লোকজনের নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় দূতাবাস আবারও তার নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব লাউক্কাই জেলা থেকে সরে যেতে বলছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মিয়ানমারের স্বায়ত্তশাসিত কোকাং অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি গুরুতর ও জটিল। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো সেখানকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বোচ্চ মাত্রায় সংযম দেখাবে।’

একই সঙ্গে তিনি চীনের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জান্তা সরকারের সেনাদের সশস্ত্র লড়াই চলছে। এরই মধ্যে জোটটি বেশ কয়েকটি শহর ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু কেন্দ্র দখল করে নেয়। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২১ সালে জান্তারা ক্ষমতা দখল করার পর এই প্রথম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।

মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) দাবি করেছে, চীনের সীমান্তবর্তী লাউক্কাই শহর পুনর্দখল করেছে। শহরটি জান্তা বাহিনী-সংশ্লিষ্ট মিলিশিয়ারা পরিচালনা করে। জুয়া, যৌনবৃত্তি ও অনলাইন কেলেঙ্কারির জন্য এলাকাটির দুর্নাম রয়েছে। এমএডিএএর সঙ্গে যুক্ত গণমাধ্যম জানায়, স্বায়ত্তশাসিত কোকাং অঞ্চলে জান্তারা বিমান হামলা চালাচ্ছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বেইজিং জানিয়েছিল, তাদের মধ্যস্থতায় জান্তা বাহিনী ও তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আলোচনার মধ্য দিয়ে ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে শান রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সংঘর্ষ চলছেই।