ভূমিকম্পে তুরস্কের যেসব শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার একটি হাতায়। দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটির একটি ভবনে মা–বাবার সঙ্গে থাকত পাঁচ বছরের এক শিশু। ভূমিকম্পে ভবনটি ধসে পড়ে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে শিশুটি। তাকে ৫২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
হাতায়সহ তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ জনপদে গত সোমবার ভোরে যখন ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে, তখন ঘুমাচ্ছিল পাঁচ বছরের ওই কন্যাশিশু। মুহূর্তেই ধসে পড়ে ভবন। আজ বুধবার ধসে পড়া সে ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম সাবাহ এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায়। তাতে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া শিশুটিকে আজ উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়লেও শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। উদ্ধারের পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুটিকে পাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে শিশুটির মা–বাবা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা বেঁচে আছেন কি না, তা জানা যায়নি। ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও সিরিয়ায় এর আগেও কয়েকটি শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার হওয়া এসব শিশুর মধ্যে কয়েকজনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেলেও বেশির ভাগের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাচ্ছে না।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি। বহু মানুষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দুই দেশে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর তুরস্ক ও সিরিয়া ছাড়াও কয়েক ডজন দেশের উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন।