জেসিন্ডার জায়গায় হিপকিনসকে বেছে নিল নিউজিল্যান্ড

ওয়েলিংটনে পার্লামেন্টের সামনে বক্তব্য দেন ক্রিস হিপকিনস
ছবি: রয়টার্স

নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি আজ রোববার দলের নেতা ও দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্রিস হিপকিনসকে বেছে নিয়েছে। তিনি দেশটির বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। খবর রয়টার্সের

৪৪ বছরের হিপকিনস এই পদের জন্য একমাত্র মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। আজ লেবার ককাস সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা আরডার্ন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

হিপকিনস তাঁর নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এটি তাঁর জীবনে বড় অর্জন ও দায়িত্ব। তিনি বলেন, সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবিলা করতে তিনি উৎসাহ বোধ করছেন।

হিপকিনস উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্মেল সেপুলোনির নাম ঘোষণা করেছেন। করোনা মহামারি মোকাবিলায় সাফল্য রয়েছে ‘চিপ্পি’ নামে পরিচিত হিপকিনসের। তখন তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। হিপকিনস বলেছেন পরে তিনি বাকিদের নাম জানাবেন।

হিপকিনস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেসিন্ডা আরডার্ন নিউজিল্যান্ডে রাজা চার্লসের প্রতিনিধির কাছে  তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। গভর্নর জেনারেল সিন্ডি কিরো হিপকিনসকে নিয়োগ দেবেন। হিপকিনস আগামী বুধবার শপথ নেবেন।

২০১৭ সালে প্রথম নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন জেসিন্ডা। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৭ বছর। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিউজিল্যান্ডের দায়িত্ব নেন। তিনি বিশ্বে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকাকালে মা হয়েছেন। এ রেকর্ডে প্রথম স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো।