তুরস্ক ও সিরিয়া

ভূমিকম্পের সময় বেশির ভাগ মানুষ ছিল ঘুমন্ত, নিহত তিন শতাধিক, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

ধ্বংসস্তূপ থেকে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করছেন উদ্ধারকর্মীরা। আলেপ্পো, সিরিয়া
 ছবি: এএফপি

তুরস্ক ও সিরিয়ায় আজ সোমবার ভোরে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন শতাধিক হয়েছে। আহত হয়েছে ছয় শতাধিক। অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে রয়েছে।

ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় অনেক মানুষ ঘুমন্ত ছিলেন। ভবনের ধ্বংসস্তূপে অনেকে আটকা পড়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। সাইপ্রাস ও মিশরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, তুরস্কে দিয়ারবাকির শহরসহ ১০টি শহরে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ৭৬ জনেরও বেশি মানুষ এতে নিহত হয়েছে।  সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম বলছে দেশটিতে ২৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। কয়েক ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অনেক ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সরকার নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা ও টারটাস প্রদেশে ২৩৭ জন নিহত হয়েছে।

হাসপাতালে শিশুসহ আহত মানুষদের চিকিৎসা চলছে। ইদলিব, সিরিয়া

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলেছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।

কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তত এক শতাব্দীর মধ্যে এই অঞ্চলে আঘাত হানার সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহতদের ভিড়। ইদলিব, সিরিয়া

এদিকে ভূমিকম্পে তুরস্কে শক্তশালী ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। একই সঙ্গে তিনি এই বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তা নিরূপণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।