সফররত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (মাঝে-ডানে) ও ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন (পুতিনের ডানে) সহকারীদের নিয়ে একসঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন। গতকাল দেশটির রাজধানী হ্যানয়ের সরকারি দপ্তরের সামনে
সফররত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (মাঝে-ডানে) ও ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন (পুতিনের ডানে) সহকারীদের নিয়ে একসঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন। গতকাল দেশটির রাজধানী হ্যানয়ের সরকারি দপ্তরের সামনে

ভিয়েতনামের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করছেন পুতিন

লাম ও পুতিন এক ডজনের বেশি চুক্তি সই করেছেন। এসব চুক্তির মধ্যে শিক্ষা থেকে বিচার ও বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্পের মতো নানা বিষয় রয়েছে।

পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়াকে ‘একঘরে’ করে ফেলতে চাইছে। এর পাল্টা হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মিত্রদেশগুলো সফর শুরু করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সফরে মিত্রদেশ ভিয়েতনাম পৌঁছান পুতিন। তাঁর এই সফরে ভিয়েতনাম ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতির কথা বলা হয়েছে। 

ভিয়েতনাম ও রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেন নিয়ে পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতি আদায় ও প্রতিরক্ষা চুক্তির পর হ্যানয় যান পুতিন। সেখানে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট তো লাম দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দেন। 

পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর লাম সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে অপ্রচলিত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা, অঞ্চল ও বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দুই পক্ষ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াতে চায়। 

কয়েক দশক ধরেই ভিয়েতনামের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী মস্কো। ১৯৯৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনামের ৮০ শতাংশ অস্ত্র সরবরাহ করেছে রাশিয়া। কিন্তু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সম্প্রতি ফরমাশ কমে গেছে।

লাম ও পুতিন এক ডজনের বেশি সহযোগিতা চুক্তি সই করেছেন। এসব চুক্তির মধ্যে শিক্ষা থেকে বিচার ও বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্পের মতো নানা বিষয় রয়েছে।

পুতিন বলেছেন, তাঁদের আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। দুই পক্ষেরই আন্তর্জাতিক মূল বিষয়গুলোতে অভিন্ন বা কাছাকাছি অবস্থান রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বল প্রয়োগ ছাড়া এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পর্যাপ্ত এবং নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা কাঠামো গড়ার এবং শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য সমাধানের নীতি নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেছেন।

গত সপ্তাহে ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদ থেকে ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়।