পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন

মিয়ানমার সংকটের রাজনৈতিক সমাধান চায় আসিয়ান

আসিয়ান জোটের বর্তমান সভাপতি ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া, ১২ জুলাই
ছবি: এএফপি

মিয়ানমার সংকটের রাজনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান। আজ বুধবার জোটের সভাপতি ইন্দোনেশিয়া এই আহ্বান জানায়।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেন, কেবল একটি রাজনৈতিক সমাধানই টেকসই শান্তি নিয়ে আসতে পারে।

দুই বছরের বেশি সময় আগে মিয়ানমারে একটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়। নির্বাচিত সরকারপ্রধান অং সান সু চিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর বিরোধী মত দমনে জান্তা কর্তৃপক্ষের সাঁড়াশি অভিযানে শত শত প্রাণহানি হয়েছে।

সংকট কাটিয়ে মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আসিয়ান। তবে এসব তৎপরতা এখনো সফলতার মুখ দেখেনি। বলা হচ্ছে, মিয়ানমার সংকট সমাধানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে ১০ দেশের এই জোটে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। তাই জোটের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়া যায়নি।

আজ সম্মেলনে রেতনো মারসুদি বলেন, ‘মিয়ানমারে অব্যাহত সহিংসতা দিন দিন বাড়তে দেখছি আমরা। এ নিয়ে আমরা অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। আমরা সব অংশীজনকে দৃঢ়ভাবে এ সহিংসতার নিন্দা জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ আস্থা তৈরি করার জন্য এটিই সর্বোত্তম উপায়।’

জোটের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে রেতনো মারসুদি বলেন, জোট চায় মিয়ানমারের বিবদমান পক্ষের মধ্যে পুনরায় আলোচনা শুরু হোক, যাতে করে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় আসা যায়।

তবে মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে আসিয়ানের পক্ষ থেকে যে পাঁচ দফা শান্তি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন এখনো আলোর মুখ দেখেনি। কেননা মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং জোটের শান্তি প্রস্তাব মেনে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনাগ্রহ জানিয়ে আসছেন।

সু চির সঙ্গে থাই মন্ত্রীর বৈঠক

এদিকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দোন প্রামুদউইনাই আজ বলেছেন, মিয়ানমারের কারাবন্দী নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। দুই বছর আগে জান্তা কর্তৃপক্ষ বন্দী করার পর এই প্রথম কোনো বিদেশি কর্মকর্তার সঙ্গে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির বৈঠক হওয়ার কথা জানা গেল।