আফগানিস্তানে বন্যায় ১৮০ জনের মৃত্যু, আন্তর্জাতিক সাহায্য চাইল তালেবান

বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসাত্মক এ বন্যায় আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে
ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানে চলতি মাসে বন্যায় ১৮০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার বন্যায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে তালেবান। বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসাত্মক এ বন্যায় দেশটির অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট আরও প্রকট হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আফগানিস্তান একা এই বন্যা মোকাবিলা করতে পারছে না। আমরা বিশ্ব, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মুসলিম দেশগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাই।’ তিনি জানান, বন্যায় চলতি মাসে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ২৫০ জন। ৩ হাজার ১০০ বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজারো গবাদিপশু মারা গেছে।

আফগানিস্তান এ বছর খরাসহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে। জুনে ভূমিকম্পে এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এক বছর আগে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটি মূলত আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন ইউনিসেফ আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান অ্যান কিন্ড্রাচাক। তিনি বলেন, ‘মানুষ সবই হারিয়েছে...তারা রাতারাতি সবকিছু হারায়।’

ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা বলেন, তিনটি অস্থায়ী শিবিরে লোকজন অবস্থান করছেন। সামনে কী হবে, তা নিয়ে তাঁরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন—এই শীতে তাঁরা কী খাবেন। তাঁদের জীবিকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।