পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) ভোটে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহেই। ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩৪টি। খবর আল-জাজিরা ও শ্রীলঙ্কান মিররের।
একজন এমপি ভোটদানে বিরত ও একজন অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকায় জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১২ ভোট।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কায় আজ বুধবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে দুলাস আলহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট আর অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকে পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে শুরুতে প্রার্থী ছিলেন চারজন। তবে দুলাসের সমর্থনে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ান সঙ্গী জন বালাওয়েগারের (এসজেবি) সাজিথ প্রেমাদাসা।
গত সপ্তাহে গণরোষের মুখে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালালে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেতে হয় লঙ্কান পার্লামেন্টের এমপিদের। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করলেন দেশটির এমপিরা।
এর আগে ১৯৯৩ সালের মে দিবসে তামিল টাইগারের আত্মঘাতী হামলায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আর প্রেমাদাসা নিহত হন। তিনি বর্তমান বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার বাবা। পরে মে মাসেই এক অধিবেশনে পার্লামেন্ট সদস্যরা সর্বসম্মতভাবে ডি বি বিজেতুঙ্গাকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেন। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রেমাদাসার বাকি মেয়াদ পূর্ণ করার পর তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় রাজাপক্ষেদের সরকার উৎখাতে মাঠে নেমেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে গদি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা দুই ভাই গোতাবায়া ও মাহিন্দা রাজাপক্ষে।
তবে রনিল বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে এখন রাজাপক্ষেদের সঙ্গে আঁতাত করার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগকেও দেখা হচ্ছে গণতন্ত্রের লঙ্ঘন হিসেবে। নতুন প্রেসিডেন্ট পেলেও দেশটির পরিস্থিতি শান্ত হবে বলে মনে হচ্ছে না।