রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সরকারের দেওয়া বিবৃতিতে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েছেন পুতিন। হাতে গোনা কয়েকটি মিত্রদেশ তাঁর পাশে আছে। হাজারো ইউক্রেনীয় শিশুকে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। থাইল্যান্ড আইসিসি রোম স্ট্যাটিউটে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। থাইল্যান্ড রাশিয়াকে সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সোভিয়েত ইউনিয়ন যুগ থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ভিয়েতনামের খুব দৃঢ় সম্পর্ক আছে।
মঙ্গলবার ভিয়েতনাম সরকারের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিগগির’ ভিয়েতনাম সফরের জন্য পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভো ভান থুওং। পুতিন ‘খুশিমনে’ সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
আগামী বছর থাইল্যান্ডে সফর করার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আজ বুধবার চীনের বেইজিংয়ে স্রেথা এ কথা বলেছেন।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ফোরাম চলার ফাঁকে স্রেথা এবং থুওং দুজনই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
স্রেথা বলেন, ‘আগামী বছর থাইল্যান্ড সফরের জন্য আমি তাঁকে (পুতিন) আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রেসিডেন্ট পুতিন ফুকেট (থাই দ্বীপ) পছন্দ করেন।’
থাই সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, পুতিন আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তবে সফরের তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
সম্প্রতি ভিসা প্রক্রিয়ায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছে থাইল্যান্ড। রুশ নাগরিকদের তিন মাস মেয়াদি ভিসা দেওয়া হচ্ছে। আগে ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন ছিল।
ইউক্রেনের কিছু অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার নিন্দা জানিয়ে গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভোটাভুটি হয়। চীন ও ভারতের পাশাপাশি থাইল্যান্ডও তখন ভোটদানে বিরত থাকে।
ভিয়েতনামের সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়, থুওং এবং পুতিন দুই দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভিয়েতনামে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়া।