১৩৭ ফুটের বেশি দীর্ঘ এক ড্রাগন রাগি রাগি চোখে তাকিয়ে বিশাল হাঁ করে আছে। মনে হচ্ছে, সামনে যা কিছু পাবে, সাবাড় করে ফেলবে। কিন্তু এই ড্রাগন দেখে কেউ ভয় পাচ্ছেন না, উল্টো সবাই আসছেন এর সঙ্গে ছবি তুলতে।
আনুমানিক ৩৮ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল রাবার বেলুন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দৈত্যাকৃতির এই ড্রাগন। এরই মধ্যে এটি বেলুন দিয়ে তৈরি সবচেয়ে বড় ড্রাগনের ভাস্কর্য হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়েছে।
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের একটি শপিং মলে গত ২৪ জানুয়ারি এই ড্রাগন প্রদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
দুই বেলুনশিল্পী সেজে তাই উইলসন প্যাং এবং কুন লুং হোর নেতৃত্বে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী এই ড্রাগন ভাস্কর্য তৈরিতে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন আয়োজক ব্যক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী।
চীনা নতুন বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে এই ড্রাগন তৈরি করা হয়েছে এবং পুরো ফেব্রুয়ারি মাস এটি প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে।
ড্রাগনের চীনা নববর্ষে এই রেকর্ড উইলসনের জন্য সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। ড্রাগন পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বাস করা হয়, এই ড্রাগন সৌভাগ্য এবং মঙ্গলের বার্তা নিয়ে আসে। উইলসন এটিকে সমাজে ইতিবাচক বার্তা বয়ে নিয়ে আসার উপায় হিসেবে দেখছেন।
২০১৬ ও ২০১৮ সালে একজন বিশ্ব বেলুন চ্যাম্পিয়ন উইলসনের জন্য এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, এত বড় ভাস্কর্যটি দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য ফ্রেমে অন্য কোনো ধরনের উপকরণ ব্যবহার করার সুযোগ ছিল না। ফলে ড্রাগনটিকে সিলিং থেকে ঝুলিয়ে ‘ফ্লাইং ড্রাগনে’ রূপ দেওয়া হয়।