ভূমিকম্পে সিরিয়ায় হাসপাতালসহ হাজারো ভবন ধসে পড়েছে। ইদলিব প্রদেশের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত আজমারিন শহরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্সের (হোয়াইট হেলমেটস) সদস্যরা
ভূমিকম্পে সিরিয়ায় হাসপাতালসহ হাজারো ভবন ধসে পড়েছে। ইদলিব প্রদেশের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত আজমারিন শহরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্সের (হোয়াইট হেলমেটস) সদস্যরা

তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে বিস্ময়কর ও আলোচিত যত ঘটনা

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজের সময় দুই দেশেই কিছু বিস্ময়কর ও আলোচিত ঘটনা ঘটেছে, ঘটছে। যেমন তুরস্কে ভূমিকম্পের ১০১তম ঘণ্টায় ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে জন্ম নেওয়া এক শিশু বেঁচে আছে। মায়ের দুধে বেঁচে ছিল ১৮ মাসের শিশু মাশাল। এমন সব বিস্ময়কর ও আলোচিত ঘটনা নিয়েই এই প্রতিবেদন।

১২৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার ২ মাসের শিশু

শনিবার ২ মাস বয়সী শিশুটি উদ্ধার হয়

তুরস্কের হাতায় শহরে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার তাকে উদ্ধার করা হয়। ভূমিকম্পের পর প্রায় ১২৮ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপে ছিল শিশুটি। ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর শনিবার দুই মাসের শিশুটি ছাড়াও আরও কয়েকজন উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে আছে ২ বছর বয়সী এক শিশু, ৬ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা এবং ৭০ বছর বয়সী এক নারী।

১২৯ ঘণ্টা পর ৫ সদস্যের পরিবারকে জীবিত উদ্ধার

গত সোমবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্কে ভূমিকম্পের ১২৯ ঘণ্টা পর ৫ সদস্যের একটি পরিবারকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। গাজিয়ানতেপ প্রদেশের নুরদাগ শহর থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রথমে মা হাভভা ও মেয়ে ফাতমাগুল আসলানকে উদ্ধার করেন। এরপরে উদ্ধারকর্মীরা বাবা হাসান আসলামকে খুঁজে পান। এ সময় তিনি মেয়ে জায়নেপ ও ছেলে সালতিক বুগরাকে প্রথমে উদ্ধার করতে অনুরোধ করেন।

ধ্বংসস্তূপে ১০৪ ঘণ্টা কাটানোর পর বেঁচে ফিরলেন নারী

শুক্রবার কিরিখান শহরের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে জিনেপ কাহরামান নামের ওই নারী উদ্ধার হন

তুরস্কে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে ১০৪ ঘণ্টা আটকে থাকার পর এক নারী জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। গত শুক্রবার কিরিখান শহরের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে জিনেপ কাহরামান নামের ওই নারী উদ্ধার হন। কাহরামানের বয়স ৪০ বছর। শুক্রবার তাঁকে যখন ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন উদ্ধারকারীদের চোখে-মুখে ছিল স্বস্তির চিহ্ন। উদ্ধারকারী দলের নেতা স্টিভেন বায়ের বলেন, ‘এখন আমি অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন লোকজন কান্না করছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। এমন অবস্থার মধ্যেও এতটা ভালোভাবে ওই নারীকে বের করে আনতে পারায় অনেক স্বস্তি বোধ হচ্ছে। এটি পুরোপুরি অলৌকিক ঘটনা।’

জার্মান উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসাবশেষে আটকে থাকা জিনেপ কাহরামানের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম হন। একটি পাইপের সাহায্যে তাঁকে পানি দেওয়া হচ্ছিল। একপর্যায়ে উদ্ধারকর্মীদের সহায়তায় কাহরামের ছোট বোন একটি মই বেয়ে নিচে নেমে বোনের সঙ্গে কথা বলেন।

১০১ ঘণ্টা পর ৬ জন জীবিত উদ্ধার

ভূমিকম্পে সিরিয়ায় হাসপাতালসহ হাজারো ভবন ধসে পড়েছে। ইদলিব প্রদেশের বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত আজমারিন শহরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্সের (হোয়াইট হেলমেটস) সদস্যরা

তুরস্কে ভূমিকম্পের ১০০ ঘণ্টা পর কাহরামানমারাস ও হায়াতে এলাকা থেকে বেশ কিছুসংখ্যক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০১তম ঘণ্টায় এক স্থান থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা পরস্পর আত্মীয়। একটি ছোট জায়গায় কোনোমতে আটকে ছিলেন তাঁরা। হায়াতে এলাকায় এক মা ও তাঁর ১০ বছর বয়সী শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে শিশুর জন্ম

ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে জন্ম নেওয়া শিশুটির চিকিৎসা চলছে। সিরিয়ার আফরিন শহরের একটি হাসপাতালে

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় জেন্দেরিস শহরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন এক অন্তঃসত্ত্বা। সেখানেই তিনি ফুটফুটে এক মেয়েশিশুর জন্ম দেন। নবজাতকের জন্মের পরপরই মারা যান ওই নারী। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শিশুটি। তবে শুধু মাকে নয়, ভূমিকম্পে বাবা ও চার ভাইবোনকেও হারিয়েছে শিশুটি। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘আয়া’। আরবি ভাষায় যার অর্থ ‘অলৌকিক’। উদ্ধারকর্মীরা ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে যখন সন্ধান পান, তখন মৃত মায়ের পাশে পড়ে ছিল শিশুটি। মায়ের সঙ্গে তার নাড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে বের করে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।

শিশুটিকে উদ্ধার করার একটি ছোট্ট ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি চারতলা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে ধুলার মধ্যে পড়ে আছে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুটি। পাশেই পড়ে আছে মায়ের মরদেহ। পরে সেখান থেকে শিশুটিকে বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা।

৭৯ ঘণ্টা পর ২ বছরের শিশু জীবিত উদ্ধার

তুরস্কের বিভিন্ন শহরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সন্ধান করা হচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের

ভূমিকম্পের পর তুরস্কে ৭৯ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল ২ বছর বয়সী এক শিশু। অবশেষে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের আন্তাকায়া শহরে গত বৃহস্পতিবার এ ধসে পড়া একটি আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। শিশুটি কিংবা ওই শিশুর মা-বাবার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

মায়ের দুধে বেঁচে ছিল ১৮ মাসের মাশাল

ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে শিশু মাশালকে বের করে আনছেন উদ্ধারকারীরা

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের কাহরামানমারাস প্রদেশে ভূমিকম্পে ভবনধসে চাপা পড়েন কিরাচাকালি দম্পতি। সঙ্গে তাঁদের ১৮ মাস বয়সী মেয়ে মাশালও ছিল। ওমের কিরাচিকালি ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হতে পারলেও চাপা পড়ে থাকে তাঁর স্ত্রী ইয়েলিজ কিরাচিকালি (২৩) ও তাঁদের মেয়ে মাশাল। এরপর কেটেছে ৫৫ ঘণ্টা। অবশেষে গত বুধবার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মাশালকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইয়েলিজ তখনো উদ্ধার হননি। বুধবার মা ইয়েলিজের সঙ্গে কথা হয়েছে উদ্ধারকর্মীদের। চাপা পড়া অবস্থায় ইয়েলিজ উদ্ধারকর্মীদের জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ার পর থেকে মাশালকে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি। মাশাল তেমন গুরুতর কোনো আঘাত পায়নি। মাশালকে জীবিত উদ্ধারের পর তাকে তার বাবার কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।

ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ভাই-বোনের হৃদয়স্পর্শী ছবি

মোহাম্মদ সাফা নামের জাতিসংঘের এক প্রতিনিধি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ছবিটি শেয়ার করেছেন

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে দুই ভাই-বোন। ছোট ভাইয়ের মাথায় যেন কোনো কিছুর আঘাত না লাগে, তা নিশ্চিত করতে নিজের হাত দিয়ে ভাইয়ের মাথা আগলে রেখেছে সাত বছরের বোন। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের এমন একটি হৃদয়স্পর্শী ছবি অনলাইনে ভেসে বেড়াচ্ছে। মোহাম্মদ সাফা নামের জাতিসংঘের এক প্রতিনিধি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ছবিটি শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ১৭ ঘণ্টা পর ওই দুই ভাই-বোনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

৫২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার শিশু

ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে উদ্ধারের পর স্ট্রেচারে করে পাঁচ বছরের ওই কন্যাশিশুকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে

ভূমিকম্পে তুরস্কের যেসব শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার একটি হাতায়। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরের একটি ভবনে মা-বাবার সঙ্গে থাকত পাঁচ বছরের এক শিশু। ভূমিকম্পে ভবনটি ধসে পড়ে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে শিশুটি। তাকে গত বুধবার ৫২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়লেও শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। উদ্ধারের পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশুটিকে পাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৪৫ ঘণ্টা পর শিশুর সন্ধান, পানি খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল

শিশু মোহাম্মেদকে পানি খাওয়ানোর দৃশ্য

ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন। ৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মোহাম্মেদ নামের এক শিশুকে দেখা গেছে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে। ভূমিকম্পের প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর শিশুটির সন্ধান পান উদ্ধারকারীরা। তাকে জীবিত শনাক্তের পর বেশ উৎফুল্ল হয়ে পড়েন তাঁরা। শিশুটিকে দেখে প্রথমে একটি পানির বোতলের ছিপিতে করে তার মুখে একটু একটু করে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন এক উদ্ধারকারী। পাশেই আরেক উদ্ধারকারীকে চামচ হাতে নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

মাসহ ‘সবাই’ মারা গেছে, ধ্বংসস্তূপে সুস্থ রইল শিশুটি

চাচা আবু হুসামের কোলে শিশু রাঘাদ ইসমাইল। আজাজ, সিরিয়া, ৬ জানুয়ারি

সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে রাঘাদ ইসমাইল নামে ১৮ মাস বয়সী এক শিশুকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সদ্য ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে মা, ভাই, বোনসহ পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হারিয়েছে সে। এখন রাঘাদকে দেখাশোনা করছেন তার চাচা আবু হুসাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রাঘাদের অন্তঃসত্ত্বা মা, পাঁচ বছর বয়সী বোন ও চার বছর বয়সী ভাই রয়েছে।

ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে ‘অলৌকিক নবজাতক’

নবজাতকটিকে নিয়ে যাচ্ছেন এক উদ্ধারকারী

সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে গত মঙ্গলবার এক নবজাতককে জীবিত অবস্থায় পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। এখন এই নবজাতককে ‘অলৌকিক’ বলা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধারের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল হওয়া ছোট ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন উদ্ধারকারী নবজাতকটিকে দুই হাত দিয়ে ধরে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন। নবজাতকটিকে উদ্ধারের একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন হোসাং হাসান নামের এক সিরীয় সাংবাদিক। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে এক প্রসূতিকে উদ্ধারের সময় শিশুটির জন্ম হয়।
গত সোমবার ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশি বিপর্যস্ত তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৭৫ জন। তুরস্কের ভূকম্পনপীড়িত ১০টি অঞ্চলে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।


এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, আল–জাজিরা, এনডিটি, সাবাহ, আনাদোলু এজেন্সি থেকে ভাষান্তর করা।