দক্ষিণ কোরিয়া পড়েছে এক মহা সমস্যায়। দেশটিতে বেশ কিছুদিন ধরে শিশুর জন্মের হার কমছে। সম্প্রতি সেই হার আরও কমেছে। সিউল শহর কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধানে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিম্বাণু সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ভর্তুকি দেওয়ার মতো সুবিধা চালু করা।
গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় নারীপ্রতি জন্মহার ছিল দশমিক ৭ শতাংশ। শিশুর জন্মহারের দিক থেকে বিশ্বের স্বল্পতম দেশের একটি এটি। দেশটিতে যে হারে বয়স্ক জনগণ বাড়ছে, সে তুলনায় জন্মহার কম হওয়ায় সেখানে দ্রুত জনসংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আমার বয়সের কারণে সন্তান নেওয়ার চাপ অনুভব করছি। এ কারণে দ্রুত বিয়ে করার পরিকল্পনাও করতে হচ্ছে।সিউলের বাসিন্দা জিওং
দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার বাড়াতে সরকার নানা রকম প্রণোদনা ও উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে সাম্প্রতিক উদ্যোগ হচ্ছে সিউল শহর কর্তৃপক্ষের ডিম্বাণু হিমায়িত করে সংরক্ষণ করে রাখার প্রযুক্তিতে ভর্তুকি।
সিউলের বাসিন্দা জিওং নামের এই নারীর বয়স এখন ৪০ বছর। তিনি শহর কর্তৃপক্ষের দেওয়া সুবিধা নিতে চাইছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘আমার বয়সের কারণে সন্তান নেওয়ার চাপ অনুভব করছি। এ কারণে দ্রুত বিয়ে করার পরিকল্পনাও করতে হচ্ছে।’
জিওং আরও বলেন, ‘আমার বয়স যখন মধ্য ৩০-এ পৌঁছায়, তখন আমার পছন্দের ব্যক্তির সঙ্গে দ্রুত বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু তা ঠিকঠাকমতো এগোয়নি। তাই এ সময় আমাকে অন্য পরিকল্পনা নিতে হয়।’
কোরিয়ায় নব্বইয়ের দশক থেকে ডিম্বাণু হিমায়িত করে রাখার প্রযুক্তি থাকলেও এত দিন এ বিষয়ে সচেতনতা ও চাহিদা কম ছিল। এখন এই প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে।