বালিতে দেখা হতে পারে সি-পুতিনের

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ছবি: রয়টার্স

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুজনেরই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এ কথা জানিয়েছেন। নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসির।

জোকো উইদোদো এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সি চিন পিং আসবেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও আসবেন বলে আমাকে বলেছেন।’ দুই নেতার এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এই প্রথম নিশ্চিত করা হলো।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু আর তাইওয়ান নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার পর এটিই হবে প্রথম কোনো বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর এই প্রথম চীনের বাইরে যাচ্ছেন সি। ওই সময়ের পর কেবল গত ১ জুলাই হংকংয়ের চীনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপনে মূল ভূখণ্ডের বাইরে যান তিনি।

নভেম্বরের শীর্ষ সম্মেলনটি বহুল প্রতীক্ষিতই হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এতে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে তিনি পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে একাধিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, এ সম্মেলনকে সামনে রেখে শিগগিরই কিংবা সম্মেলনের পাশাপাশি বাইডেন ও সির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।

মানবাধিকার, বাণিজ্য ও অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছে।

স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। পেলোসির সফরের প্রতিবাদে দ্বীপটিকে ঘিরে সাম্প্রতিককালের নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালিয়েছে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র এ মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে। এ মহড়াকে তাইওয়ান দখলের অনুশীলন আখ্যা দিয়ে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছে তাইপে।

এর আগে ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার জি-২০ সদস্যপদ কেড়ে নিতে এবং এ সম্মেলনে পুতিনকে আমন্ত্রণ না জানানোর আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইতিমধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে ইন্দোনেশিয়া।

জোকো উইদোদো বলেন, ‘বড় দেশগুলোর দ্বন্দ্ব সত্যিই উদ্বেগজনক। আমরা এ অঞ্চলকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চাই, যাতে আমরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারি।’ এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন তাঁর দেশকে ‘শান্তির সেতুবন্ধন’ হিসেবে গ্রহণ করেছে।

জুনে প্রথম এশীয় নেতা হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে কিয়েভ ও মস্কো সফর করেন জোকো উইদোদো। তিনি যুদ্ধ বন্ধ ও বৈশ্বিক খাদ্যসংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছিলেন।