ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ত্রাণ সরবরাহ করতে না দেওয়ায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এই প্রদেশে বিভিন্ন রোগ ছাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
গত ১৪ মে মিয়ানমারের রাখাইনে আঘাত হানে মোখা। সেই সময় সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। এতে সেখানে নিহত হন ১৪৮ জন। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের উপকূলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
জাতিসংঘ বলছে, রাখাইনে মোখার আঘাতে শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সেখান যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেয় জান্তা সরকার। মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম ও আবাসিক প্রতিনিধি রামানাথান বালাকৃশনান বলেন, চার সপ্তাহ ধরে সেখান ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চলছিল। এ ছাড়া বর্ষার সময় এগিয়ে আসছে। কিন্তু ঠিক এই সময়ে এসে কেন সেখানে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হলো, তা বোধগম্য নয়।
গত সপ্তাহে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার আগেও খুব বেশি কর্মী সেখানে কাজ করছিলেন, এমনটা নয়। সেই সময়ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল সংগঠনগুলোকে। জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র জেনস লার্কে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলাম এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু ত্রাণ ও বিভিন্ন জিনিসপত্র বিতরণ করার কথা ছিল।’ রাখাইনের প্রায় ১০ লাখ মানুষের মধ্যে এসব ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাখাইনে নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানে এখন খাবার, পানি ও সমায়িকভাবে থাকার জন্য তাঁবুও সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।