চীনের বিমানবাহী রণতরির উপস্থিতি ঘিরে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে তাইওয়ান। আজ রোববার তাইওয়ানের দক্ষিণের সাগরে ওই রণতরির দেখা মেলে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ান ঘিরে চীনের ‘উসকানিমূলক’ তৎপরতার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির কয়েক দিন বাদেই এ ঘটনা ঘটল।
আজ তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চীনের ‘লিয়াওনিং’ মডেলের একটি বিমানবাহী রণতরি তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেলে প্রবেশ করেছে। এই সমুদ্রপথ তাইওয়ানকে ফিলিপাইন থেকে আলাদা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রণতরিটি সেখান থেকে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চীনের রণতরির উপস্থিতি টের পাওয়ার পর সেটির কর্মকাণ্ডের ওপর গভীর নজরদারি করছে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী। এ বিষয়ে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে চীন। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রায়ই দ্বীপটি ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় বেইজিং। গত কয়েক বছরে তাদের এ তৎপরতা বেড়েছে। এ সময় দফায় দফায় তাইওয়ান ঘিরে যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে দেশটি।
যদিও চীনের দাবি বরাবরই নাকচ করে এসেছে তাইওয়ান। তাদের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। তাইপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের সমর্থন ও অস্ত্র দিয়ে আসছে মার্কিন প্রশাসন। সম্প্রতি তাইওয়ান ঘিরে চীনের তৎপরতা নিয়ে বেইজিংকে সতর্ক করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।