আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩২০ হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটির হেরাত প্রদেশ। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। পরে একাধিক পরাঘাতও হয়।
জাতিসংঘের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ভূমিকম্পে ৩২০ জন নিহত হওয়ার খবর জানালেও হেরাতের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান মোসা আশারি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, প্রায় ১২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন এক হাজার মানুষ।
এদিকে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকেও এখনো হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দেওয়া হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। ভূমিকম্পে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল শহরটি থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পটির পরের পরাঘাতগুলোর মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫।
এক ঘণ্টা ধরে কিছুক্ষণ পরপর ভূমিকম্প হয় এবং এর পরবর্তী ভূকম্পনগুলো অনুভূত হয়। এ সময় হেরাত ও এর আশপাশের বাসিন্দাদের বাড়িঘর ও ভবন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। ভূমিধস ও ধসে যাওয়া ভবনের নিচে অনেকের আটকা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
হেরাতের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী বশির আহমাদ বলেন, ‘সহকর্মীসহ সে সময় আমি অফিসে ছিলাম। হঠাৎ পুরো ভবন কাঁপতে শুরু করে। দেয়াল থেকে খসে পড়তে থাকে পলেস্তারা। দেয়ালে ফাটলও দেখা দেয়। আমাদের অফিস ভবনের কিছু দেয়াল এবং ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়েছে।’
বশির আহমাদ আরও বলেন, ‘আমি এখনো আমার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। মুঠোফান ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আমি উদ্বিগ্ন ও ভীত। ভূমিকম্পটি ছিল ভয়ংকর।’