তাইওয়ান ঘিরে আজ সোমবার যুদ্ধবিমান ও জাহাজ মোতায়েন করেছে চীন।
বেইজিং বলেছে, নতুন এই সামরিক মহড়ার উদ্দেশ্য—তাইওয়ানের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বাহিনীকে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া।
চীন আরও বলেছে, এই মহড়া রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্য রক্ষার জন্য একটি বৈধ ও প্রয়োজনীয় অভিযান।
স্বশাসিত তাইওয়ানকে চীনের নিয়ন্ত্রণে আনতে বলপ্রয়োগ করার বিষয়টি বেইজিং উড়িয়ে দেয়নি। গত দুই বছরের মধ্যে তাইওয়ান ঘিরে চীন চতুর্থবারের মতো বড় পরিসরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের জাতীয় দিবস উদ্যাপনের দিন প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের একটি বক্তব্য বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে। এর দিন কয়েকের মাথায় তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করল চীন।
লাই চিং-তে তাঁর বক্তব্যে তাইওয়ানের ‘অধিভুক্তি’ প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বেইজিং ও তাইপে কেউ কারও অধীন নয়।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের পর চীন হুঁশিয়ারি দেয়। বেইজিং বলে, লাই চিং-তের এই ‘উসকানি’ তাইওয়ানের জনগণের জন্য ‘বিপর্যয়’ ডেকে আনবে।
চীনের হুঁশিয়ারির পর তাইওয়ানের পক্ষ নিয়ে বেইজিংকে সতর্ক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সতর্কতা’ উপেক্ষা করে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করল চীন।
চলতি বছরের মে মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন লাই চিং-তে। চীনের ব্যাপারে তিনি তাঁর পূর্বসূরি সাই ইং-ওয়েনের চেয়ে বেশি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলেন। বিশেষ করে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে।
লাই চিং-তের এমন অবস্থানে চীন ভীষণ ক্ষুব্ধ। তাঁকে একজন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে অভিহিত করে আসছে বেইজিং।
চীনের সর্বশেষ এই সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে তাইওয়ান। তারা এই মহড়াকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘উসকানিমূলক’ বলে বর্ণনা করেছে।
তাইপে বলেছে, মহড়ার জবাব দিতে তারা ইতিমধ্যে ‘উপযুক্ত বাহিনী’ পাঠিয়েছে।
তাইওয়ানের উত্তর দিকের হাসিনচু বিমানঘাঁটির কাছে অবস্থান করা এএফপির এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, তিনি এখান থেকে (বিমানঘাঁটি) চারটি যুদ্ধবিমান উড়ে যেতে দেখেছেন।