জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ধসে পড়ার পাশাপাশি রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা ভূমিকম্পে অন্তত ৩০টি ভবন ধসে পড়ার খবর পেয়েছে।
ভূমিকম্পের পর উপকূলীয় ইশিকাওয়া অঞ্চলে ‘বড় ধরনের সুনামি সতর্কতা’ জারি করা হয়েছিল। পরে সতর্কতা কমিয়ে শুধু ‘সুনামি সতর্কতা’ রাখা হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা এখনো সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছেন। উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের উঁচু এলাকায় সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে:
জাপান সাগরের উপকূলীয় এলাকার কয়েক শ কিলোমিটার থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে উঁচু এলাকায় নিতে বলা হয়েছে।
প্রারম্ভিক সতর্কবার্তায় বলা হয়, কিছু কিছু এলাকায় ৫ মিটার (১৬ ফুট) পর্যন্ত ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। পরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের আশপাশের এলাকায় সতর্কবার্তা কমিয়ে বলা হয়েছে, তিন মিটার পর্যন্ত ঢেউ আসতে পারে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু যে ঢেউ এসেছে, তা এক মিটারের সামান্য বেশি।
গত ৫ ঘণ্টায় জাপানের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ৫০টির মতো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ভবনধসে মানুষ চাপা পড়ার অন্তত ছয়টি ঘটনা জানা গেছে। এ ছাড়া ভূমিকম্পের পর ইশিকাওয়া অঞ্চলে বড় ধরনের একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আগামী দিনগুলোতে আরও ভূমিকম্প হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর।
রাজধানী টোকিওর সঙ্গে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ইশিকাওয়া অঞ্চলে গাড়ি চলাচল বন্ধ এবং বুলেট ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি বলে দেশটির পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।