তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্র গেছেন। তাঁর এই সফরকে স্পর্শকাতর হিসেবে দেখা হচ্ছে।
লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের নিন্দা জানিয়েছে চীন। তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, এই সফরকে কেন্দ্র করে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটির চারপাশে চীন তার সামরিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন লাই। তিনি মূলত প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সফরে বেরিয়েছেন। তবে যাওয়া-আসার পথে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি করবেন।
তাইপে ও ওয়াশিংটন বলছে, এই ধরনের যাত্রাবিরতি একটি স্বাভাবিক বিষয়। এর জেরে চীনের ‘উসকানিমূলক’ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার যুক্তি নেই।
তবে বেইজিং ইতিমধ্যে লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা এই সফরকে তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের আরও একটি প্রতীক হিসেবে দেখছে।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল দাবি করে চীন।
তাইওয়ানের কর্মকর্তারা বলছেন, লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতিকে একটা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারে চীন। তারা শিগগির তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করতে পারে। আগামী বছর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটারদের ভয় দেখাতে চীন এই কাজ করতে পারে। তারা তাইওয়ানের ভোটারদের ‘যুদ্ধের ভয়’ দেখাতে পারে।
বেইজিং লাইকে বিশেষভাবে অপছন্দ করে। তিনি অতীতে নিজেকে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য একজন কার্যকর কর্মী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
লাই অবশ্য তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় বারবার বলেছেন, তিনি তাইওয়ানের স্থিতাবস্থা পাল্টে দিতে চান না।
মাস কয়েক আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনও যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। সে সময়ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল চীন। তখন বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছিল।