দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে ১১ পর্বতারোহীর মৃত্যু, এখনো নিখোঁজ ১২

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতে ১১ পর্বতারোহীর প্রাণ গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন ১২ জন।

গতকাল রোববার সুমাত্রা দ্বীপের মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সোমবার পর্বতারোহীদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। উদ্ধারকারীরা আহত ব্যক্তিদের পর্বত থেকে নামানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। এর মধ্যে মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরিতে গতকাল অগ্নুৎপাত শুরু হয়। এতে করে আশপাশের গ্রামগুলো ছাইয়ে ছেয়ে যায়। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বেশ কয়েকজন পর্বতারোহী মাউন্ট মারাপিতে আটকে পড়েন। তাঁদের খুঁজতে উদ্ধারকারীরা গতকাল রাতভর কাজ করেছেন।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলেন, আজ মারাপির জ্বালামুখের কাছ থেকে কয়েকজন পর্বতারোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১২ জন এখনো নিখোঁজ আছেন। তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ৪৯ জন জ্বালামুখের কাছ থেকে নিরাপদে সরে যেতে সক্ষম হন। তাঁদের কারও কারও শরীর দগ্ধ হয়েছে, কারও কারও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে।

স্থানীয় উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান আবদুল মালিক বলেন, অগ্ন্যুৎপাত চলতে থাকায় উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আহত ব্যক্তিদের কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই পর্বত থেকে নিচে নামাতে হচ্ছে। প্রায় ১২০ জন উদ্ধারকারী এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের কাছ থেকে যে তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা দুর্বল হয়ে আছেন। কেউ কেউ দগ্ধও হয়েছেন।

স্থানীয় উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র জোদি হারিয়াওয়ান বলেছেন, অগ্ন্যুৎপাতের কারণে উদ্ধারপ্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। তবে ঝুঁকি সত্ত্বেও নিখোঁজদের খুঁজতে কাজ চলছে।

পশ্চিম সুমাত্রাভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান রুডি রিনাল্ডি এএফপিকে বলেন, উদ্ধার হওয়া পর্বতারোহীদের কেউ কেউ দগ্ধ হয়েছেন।

অগ্ন্যুৎপাতের পর ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে সূর্য ঢাকা পড়ে। আশপাশের বাড়িঘরসহ সবকিছুতে ছাই জমে গেছে।