শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় চাননি। সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর কলম্বো গেজেটের।
সিঙ্গাপুর বলছে, গোতাবায়া ব্যক্তিগত সফরের অংশ হিসেবে সেদেশে অবস্থান করছেন। ফলে তাঁর আশ্রয় চাওয়ার প্রশ্ন নেই।
গোতাবায়ার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জবাবে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে যে ব্যক্তিগত সফরের জন্য গোতাবায়াকে সিঙ্গাপুরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, গোতাবায়া আশ্রয় চাননি। তাঁকে কোনো ধরনের আশ্রয় দেওয়া হয়নি। সিঙ্গাপুর সরকার সাধারণত আশ্রয়ের আবেদন অনুমোদন করে না।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার দেশ ছেড়ে প্রথমে মালদ্বীপে পালিয়ে যান গোতাবায়া।
মালদ্বীপ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর যান গোতাবায়া। স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যার দিকে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান তিনি।
গোতাবায়া সিঙ্গাপুরে গিয়ে তাঁর দেশের পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
গোতাবায়ার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর পুলিশ। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘সোশ্যাল ভিজিট পাস’-এর আওতায় সিঙ্গাপুরে এসেছেন গোতাবায়া। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য কাউকে ভিসা দেওয়া হয়।
সিঙ্গাপুর পুলিশ সোশ্যাল ভিজিট পাসসহ ভিসাধারী সবাইকে স্থানীয় আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
একই সঙ্গে সিঙ্গাপুর পুলিশ সতর্ক করে বলেছে, আইনবহির্ভূত কোনো গণজমায়েতে কেউ অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোতাবায়া মালদ্বীপে গেলে সেদেশে বসবাসরত শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে মালদ্বীপে আশ্রয় না দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
মালদ্বীপের সাধারণ লোকজনও দেশটির সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গোতাবায়াকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় মালদ্বীপের রাজনৈতিক দলগুলো দেশটির সরকারের কঠোর সমালোচনা করে।