নেপালে পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের মাত্র ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড আগে ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ইয়েতি এয়ারলাইনস ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এমন তথ্য জানা গেছে। খবর লাইভ মিন্ট-এর
গতকাল রোববার ৭২ জন আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ পোখারায় বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কাউকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। দেশটির পুলিশ বলছে, কোনো আরোহীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম।
এয়ারলাইনসটির মুখপাত্র সুদর্শন বারতাউলার বরাতে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারার দিকে যাচ্ছিল। অবতরণের ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড আগে এটি বিধ্বস্ত হয়।
নেপালি সংবাদমাধ্যম মাই রিপাবলিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিমানবন্দরটির উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ১০ সেকেন্ডের মধ্যে উড়োজাহাজটির রানওয়েতে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যেই এটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
তাৎক্ষণিকভাবে ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি। তবে এ ঘটনা তদন্তে গতকাল পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সুদর্শন বারতাউলা বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও বেঁচে থাকার খবর তাঁরা পাননি। কী কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলো, তা–ও জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। সুদর্শন বারতাউলা আরও বলেন, পোখারার আবহাওয়া একেবারে ঠিকঠাক ছিল। উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের অবস্থাও ভালো ছিল। তা ছাড়া উড়োজাহাজটির ককপিট থেকে নিয়ন্ত্রণকক্ষে কোনো বিপদ সংকেত পাওয়া যায়নি।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএএন)-এর উদ্ধারকারী দলের এক কর্মকর্তা ফোনে পিটিআইকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএএন)-এর তথ্য কর্মকর্তা জ্ঞানেন্দ্র ভুল বলেন, আবহাওয়াজনিত কোনো সমস্যা ছিল না। প্রাথমিক তথ্যমতে, উড়োজাহাজটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। আকাশে ওড়ার সময় উড়োজাহাজটিতে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে বলে উল্লেখ করেন জ্ঞানেন্দ্র।