মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে গৃহবন্দী হিসেবে স্থানান্তর করা হয়েছে। দেশটির জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুখপাত্র মেজর জেনারেল জ মিন তুনকে উদ্ধৃত করে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘আবহাওয়া খুব উত্তপ্ত হওয়ায় শুধু অং সান সু চি নন, যাঁদের জন্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, বিশেষত বয়স্ক কারাবন্দীদের, হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষায় আমরা কাজ করছি।’
সু চিকে কোথায় পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি। জ মিন তুনও এ নিয়ে রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেননি।
তাঁদের কারাগার থেকে বাড়ি পাঠানোয় ভালো হয়েছে। কেননা, বাড়ি কারাগার থেকে ভালো। তবে শর্তহীনভাবে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে তাঁদের। সরকারকে অবশ্যই সু চি ও ইউ মিন্তের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার পূর্ণ দায়দায়িত্ব নিতে হবে।কিয়াও জ, মিয়ানমারের ছায়া সরকারের মুখপাত্র
আগের জান্তা সরকারের অধীন ইয়াঙ্গুনের ইনিয়া লেকে ঔপনিবেশিক আমলের ধাঁচে গড়া পারিবারিক বাসভবনে ১৫ বছর গৃহবন্দী ছিলেন সু চি। সেখান থেকে জনতার উদ্দেশে আবেগপূর্ণ কিছু বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি।
আগের জান্তা সরকারের অধীন ইয়াঙ্গুনের ইনিয়া লেকে ঔপনিবেশিক আমলের ধাঁচে গড়া পারিবারিক বাসভবনে ১৫ বছর গৃহবন্দী ছিলেন সু চি। সেখান থেকে জনতার উদ্দেশে আবেগপূর্ণ কিছু বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন মিয়ানমারের তৎকালীন নেত্রী সু চি (৭৮)। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ, ঘুষ কেলেঙ্কারি, আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর; যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সু চির ছেলে কিম আরিস বলেছিলেন, তাঁর মা নির্জন কারাবাসে রয়েছেন। তাঁর শরীরের অবস্থা আগের মতো ভালো না হলেও তিনি বেশ চনমনে আছেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশের নেতা ও গণতন্ত্রপন্থী কর্মীরা বারবার সু চির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের ছায়া সরকারের একজন মুখপাত্র সু চি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্তের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাঁকেও গৃহবন্দী অবস্থায় পাঠানো হয়েছে।
মুখপাত্র কিয়াও জ গতকাল রয়টার্সকে বলেন, ‘তাঁদের কারাগার থেকে বাড়ি পাঠানোয় ভালো হয়েছে। কেননা, বাড়ি কারাগার থেকে ভালো। তবে শর্তহীনভাবে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে তাঁদের। সরকারকে অবশ্যই সু চি ও ইউ মিন্তের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার পূর্ণ দায়দায়িত্ব নিতে হবে।’