জাপানে স্যুটকেস চালাতে লাগবে ড্রাইভিং লাইসেন্স

বৈদ্যুতিক স্যুটকেস
ছবি : এএফপি

অনেকেই বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেলে চড়তে পছন্দ করেন। কিন্তু বৈদ্যুতিক স্যুটকেসও এখন অনেকেই চলাচলের কাজে ব্যবহার শুরু করেছেন। এতে যেমন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়া যায়, আবার এতে চড়ে কিছুটা দূরত্ব সহজেই পার হওয়া যায়। জাপানে এ ধরনের বৈদ্যুতিক স্যুটকেসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। অনেকেই জাপানে বেড়াতে গিয়ে এভাবেই চলন্ত স্যুটকেসে করে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে জাপানি কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

জাপানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকারীদের সতর্ক করে জানিয়েছে, তাদের বিমানবন্দরের মধ্যে এ ধরনের মোটরচালিত স্যুটকেসে চড়ে ঘোরা যাবে না। জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োডো এ তথ্য দিয়েছে। জাপানের পুলিশ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় স্যুটকেস বিক্রেতাদের নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন এ ধরনের স্যুটকেস বিক্রির আগে ক্রেতাদের জাপানের কঠোর আইন বিষয়ে সতর্ক করে দেয়।

মোটরচালিত এই বৈদ্যুতিক স্যুটকেসগুলো অনেকটাই শিশুদের স্কুটারের মতো। এগুলো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে চলে। সাধারণ ভ্রমণকারীদের পাশাপাশি প্যারিস হিলটন ও শিল্পা শেঠির মতো তারকাদেরও এ ধরনের স্যুটকেস ব্যবহার করতে দেখা যায়।

কিয়োডোর তথ্য অনুযায়ী, জাপান সম্প্রতি এই বৈদ্যুতিক স্যুটকেসকে মোটরচালিত গাড়ির শ্রেণিভুক্ত করেছে। এগুলো তাই সেখানকার রাস্তায় চালাতে হলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উপকরণ সঙ্গে রাখতে হবে।

গত জুন মাসে ৩০ বছর বয়সী এক চীনা নারীকে ওসাকার রাস্তায় এ ধরনের স্যুটকেস চালানোর অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে। জাপানের ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, ওই নারী যে স্যুটকেস চালাচ্ছিলেন, সেটি ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে এবং এটি মোটরচালিত বাইসাইকেল শ্রেণিতে পড়ে। এ ধরনের সহজে বহনযোগ্য লাগেজ চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।

ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ইনস্টিটিউশন অব ট্রান্সপোর্টেশনের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী তাকেরু শিবায়ামা বলেন, জাপানের নানা ধরনের যানবাহন, যেগুলো মোটরচালিত বাইসাইকেলের আওতায় পড়ে, সেগুলো এখন বৈদ্যুতিক স্যুটকেসের কারণে নতুন কোনো শ্রেণিতে ফেলা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করতে বাধ্য করবে।