স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেলেন

লি জে-ইয়ং
ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং গ্রুপের উত্তরাধিকারী লি জে-ইয়ং প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেয়েছেন। খবর এএফপির।

আজ শুক্রবার এই ক্ষমা পান লি। দুর্নীতির দায়ে গত বছরের জানুয়ারিতে লি দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁর আড়াই বছরের কারাদণ্ড হয়। ১৮ মাস কারাভোগের পর গত বছরের আগস্টে তিনি প্যারোলে মুক্তি পান। এবার প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রী হান ডং-হুন বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে অবদান রাখার সুযোগ দিতে লিকে তাঁর পদে পুনর্বহাল করা হবে।

দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যবসায়ী নেতাদের দেশের অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার যে দীর্ঘ ‘ঐতিহ্য’ রয়েছে, তার সবশেষ উদাহরণ এই ঘটনা।

বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর হিসাবমতে, লি বিশ্বের ২৭৮তম ধনী ব্যক্তি। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।

প্রেসিডেন্টের ক্ষমা লাভের ফলে লি পুরো মাত্রায় তাঁর কাজে ফিরতে পারবেন। কারা-পরবর্তী পাঁচ বছরের যে বিধিনিষেধ তাঁর ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল, তা আর থাকবে না।

দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কারণে জাতীয় অর্থনীতির গতিশীলতা ও প্রাণশক্তির অবনতি ঘটেছে। অর্থনৈতিক মন্দা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় লিসহ অন্য যেসব ব্যবসায়িক নির্বাহী আজ প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেয়েছেন, তাঁরা বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতিশীল রাখার কাজে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।

আজ ৫৪ বছর বয়সী লি ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার আরও তিন ব্যবসায়ী প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেয়েছেন। লি স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি কার্যত ২০১৪ সাল থেকে স্যামসাংয়ের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।

সরকারি সুবিধা পেতে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হের ঘনিষ্ঠ বন্ধু চৌ সুন-সিলের অলাভজনক কোম্পানিকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন লি। এই কেলেঙ্কারির জেরে পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন পার্ক।

২০১৭ সালের মার্চে পার্ককে বরখাস্ত করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারা দণ্ডিত হন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমায় গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।