মাঝ–আকাশে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির শিকার হওয়া সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটির ২২ জন যাত্রী মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের ব্যাংককের সামিটিভেজ শ্রীনাকারিন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক এসব কথা জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এসকিউ৩২১ ফ্লাইট আকাশে অশান্ত পরিস্থিতির কবলে পড়ে। এ সময় ৭৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক জিওফ কিচেনের মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। ঝাঁকুনির ঘটনায় আহত হন আরও বেশ কয়েক যাত্রী। উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছিল। পরে এটি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবতরণ করে।
ওই ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সামিটিভেজ শ্রীনাকারিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই বছর বয়সী এক শিশুও আছে।
ঘটনার শিকার যাত্রীরা বিবিসিকে বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির কবলে পড়ার পর উড়োজাহাজটি হঠাৎ নিচের দিকে পড়তে শুরু করে। যাত্রীদের মধ্যে যাঁদের সিট বেল্ট লাগানো ছিল না, তাঁদের উড়োজাহাজের ছাদের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
সামিটিভেজ শ্রীনাকারিন হাসপাতালের পরিচালক আদিনুন কিত্তরিতানাপাইবুল বলেন, এখনো সেখানে ৪১ যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁদের অর্ধেককে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জন মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন। এর মধ্যে ছয় ব্যক্তির অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালের পরিচালক আদিনুন আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা যাত্রীদের মধ্যে ছয়জন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ১৩ জনের মেরুদণ্ডে আঘাতসহ সফট টিস্যু ইনজুরি হয়েছে। তিনি বলেন, ১৭ যাত্রীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁদের ৯ জন মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন।
চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ৯ জন অস্ট্রেলীয়, ৭ জন মালয়েশীয় ও ৭ জন ফিলিপিনো। এর মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির বয়স ৮৩ বছর।
বোয়িং ৭৭৭-৩০০ মডেলের উড়োজাহাজটিতে ২১১ যাত্রী ও ১৮ জন ক্রু ছিলেন।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
আর ঘটনা তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার।