সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অহিংস হলে তাতে সরকারের আপত্তি থাকবে না বলে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেছেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের উৎখাতের ঘটনায় কূটনীতিকদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের
রাজধানী কলম্বোসহ শ্রীলঙ্কার যেকোনো স্থানে অহিংস বিক্ষোভ করা করা যাবে বলে গতকাল রোববার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়।
গত শুক্রবার ভোররাতে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক শ সদস্য প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীদের তাঁবু গুঁড়িয়ে দেয়। এতে করে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়, বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া রনিল বিক্রমাসিংহের নির্দেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে অভিযান শুরু হবে।
কলম্বোয় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বৈঠক করেছেন জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে তাঁর কার্যালয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘শান্তিপূর্ণ ও অহিংস বিক্ষোভের অধিকার চর্চার সুযোগ দেওয়া নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি (কূটনীতিকদের কাছে) পুনর্ব্যক্ত করেন প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জানমালের ক্ষতি না করে রাজধানী শহর কলম্বোয় অহিংস প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর চড়াও হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানান জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকেরা। একই সঙ্গে সরকারকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, বিক্ষোভ দমনে ক্ষমতার প্রয়োগ করলে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।