কেপি শর্মা অলি
কেপি শর্মা অলি

নেপালের চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন কে পি শর্মা

নেপালে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন কে পি শর্মা অলি। দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল আজ রোববার তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। আগামীকাল সোমবার তাঁর শপথ গ্রহণের কথা রয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব কিরণ পোখরেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

৭২ বছর বয়সী কে পি শর্মা অলি নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান। এবার তাঁর দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) মধ্য-বাম ঘরানার নেপালি কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গঠন করেছে।

অলি প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১৫ সালে। এরপর ২০১৮ সালে আবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০২১ সালে দেশটির পার্লামেন্টে অস্থিরতা বিরাজ করছিল, তখন অল্প সময়ের জন্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিন কোটি মানুষের দেশ নেপালের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সব সময় বড় দুই প্রতিবেশী ভারত ও চীনের কড়া নজরদারিতে থাকে। হিমালয়ঘেঁষা নেপালে এই দুই দেশের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। দিল্লি ও বেইজিং নেপাল ও নেপালের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে চায়। আগে ক্ষমতায় থাকাকালে দুই দেশের সঙ্গে সুন্দরভাবে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছিলেন অলি। উভয়ের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও নয়াদিল্লির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছিলেন তিনি।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সরকারের ওপর থেকে গত সপ্তাহে সমর্থন তুলে নেয় অন্যতম বৃহত্তম জোটসঙ্গী কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট)। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন কে পি শর্মা অলি।

এরপর পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সামনে দুটি বিকল্প খোলা ছিল—হয় তাঁকে সরকারপ্রধানের পদ ছাড়তে হবে, নতুবা পার্লামেন্টে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পুষ্প কমল দহল দ্বিতীয় বিকল্প বেছে নিয়ে ব্যর্থ হন।

গত শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল আস্থা ভোটে হেরে যান। ফলে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ১৮ মাসের মাথায় তাঁর সরকারের পতন হয়।
এরপর শের বাহাদুর দেউবার দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন অলি।