মালদ্বীপে ভারতের মোতায়েন করা অর্ধেকের বেশি সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মালদ্বীপের পক্ষ থেকে শুক্রবারের মধ্যে অর্ধেক সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই অর্ধেকের বেশি সেনা মালদ্বীপ ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
গত বছর ভারতবিরোধী প্রচার করে মোহামেদ মুইজ্জু দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পান। এরপরই তিনি দীর্ঘদিনের মিত্র ভারতকে পরিত্যাগ করে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তিনি ও তাঁর দল অভিযোগ করে আসছিলেন, ভারত তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি, দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে দিল্লি সফর বাদ দিয়ে তিনি বেইজিং সফর করেন।
ক্ষমতায় আসার পর মুইজ্জু মালদ্বীপে অবস্থান করা ৮৯ ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য নয়াদিল্লিকে বার্তা দেন। গত সোমবার রাতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র হিনা ওয়ালিদ বলেন, সোমবার ৫১ জন ভারতীয় সেনা মালদ্বীপ ছেড়েছেন। দেশটিতে থাকা সব ভারতীয় সেনা ১০ মের মধ্যে চলে যাবেন।
গত মাসেই মালদ্বীপে চীনের বিনিয়োগের ঘোর সমর্থক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর দল সংসদ নির্বাচনে ভালো ফল করেছে। এই বিজয়ের মাধ্যমে মুইজ্জু ভারতের প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে জনগণের রায় পেয়েছেন বলে মনে করা হয়।
ভারতকে সরিয়ে মুইজ্জু চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছেন। গত মার্চ মাসে চীনের সঙ্গে সামরিক সহায়তার একটি চুক্তিও করেছে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের সঙ্গে চুক্তির আওতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দেশটির সেনারা বিশেষ প্রশিক্ষণ পাবেন।
ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারত। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশে চীনের প্রভাব সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছে। তবে আজ বুধবার মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জামিরের নয়াদিল্লি সফর করার কথা।