সোনালি রঙের শরীর। এর মধ্যে ঘিয়ে রঙের দাগ। চোখগুলো চওড়া। এমন বিরল বৈশিষ্ট্যের দুটি বেঙ্গল টাইগার থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের একটি চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
শুধু বিরল রঙাই নয়, এ বাঘগুলো দর্শনার্থীদের নানা কসরতও দেখিয়ে থাকে। আর এ কাজে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এরা।
আভা ও লুনা দুই বোনেরই বয়স তিন বছর। চিয়াংমাই’স নাইট সাফারি নামের ওই চিড়িয়াখানার প্রশিক্ষক প্যাতারি পিপাতওংচাই বলেন, এমন বিরল রঙের বেঙ্গল টাইগার শুধু পশু প্রজনন কেন্দ্র কিংবা চিড়িয়াখানাতেই দেখতে পাওয়া যায়, বনাঞ্চলে দেখা যায় না।
আভা ও লুনা—দুই যমজ বোনের জন্ম আবদ্ধ জায়গাতেই। গত জুনে এগুলোকে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই প্রদেশের ওই চিড়িয়াখানায় প্রদর্শন করা শুরু হয়। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি প্রকাশের পর আভা ও লুনা তো রীতিমতো তারকা হয়ে উঠেছে।
চিড়িয়াখানায় কসরত প্রদর্শনের জায়গাটিতে দর্শকদের জন্য ৫০০টি আসন আছে। সপ্তাহে চার দিন সেখানে কসরত দেখায় আভা ও লুনা। প্রশিক্ষক তাদের সঙ্গেই থাকেন। আভা ও লুনার কসরত দেখতে সেখানে দর্শকদের ভিড় জমে।
উইরুনিয়া পুনিয়োকিত নামের একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘এই বাঘকে দেখেই আমার মনে হয়েছে, এটি অবিশ্বাস্য রকমের বুদ্ধিমান ও দারুণ পরিবেশনায় সক্ষম। আমি খুশি যে চিয়াংমাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হিসেবে এমন স্মার্ট প্রাণীগুলো রাখা হয়েছে।’
থাই ন্যাশনাল পার্কসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, রিসেসিভ জিন থেকে এই বাঘগুলোর শরীরের রঙে বিরল পরিবর্তন দেখা গেছে। এ কারণে এদের পশমগুলো ফ্যাকাশে সোনালি রঙের হয়েছে।
এ দুই বাঘ সাড়া ফেলার আগে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের দক্ষিণে আরেকটি চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে দেখা যেত। আর এর প্রধান আকর্ষণ ছিল মু দেং নামের একটি বাচ্চা জলহস্তী।