উত্তর কোরিয়া আজ বৃহস্পতিবার আরও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। খবর বিবিসির।
দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে দেশটি ষষ্ঠবারের মতো নিষিদ্ধ এই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল। এ নিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা আজ পিয়ংইয়ংয়ের দুটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি শনাক্ত করেছে। জাপান সাগর অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ছোড়া হয়। জাপানও একই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে ছোড়া হয়। এটি প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির ফ্লাইট রেঞ্জ ছিল ৮০০ কিলোমিটার।
পিয়ংইয়ং গতকাল বুধবার তার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করে।
আজকের আগে গত মঙ্গলবার জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে জাপান সরকার তার হোক্কাইডো দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় কিছু ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু দেশটি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে।
জাপানের ওপর দিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকে।
বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষার জন্য রাশিয়া ও চীনকে দোষারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা বলেন, শাস্তির চেয়ে সংলাপ বাড়ানো ভালো।
গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তারা এই মহড়াকে উত্তর কোরিয়ার মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া বলছে।
গতকাল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছিল ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নিষিদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে নিরাপত্তামূলক সামরিক মহড়ার কোনো তুলনা চলে না।
তবে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের মহড়াকে শত্রুপক্ষের হামলার প্রস্তুতির প্রমাণ হিসেবে দেখছে।
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে একটি আইন পাস করে।
উত্তর কোরিয়া শিগগির পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে বলে সন্দেহ করছে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া।