কলম্বোয় ফুরিয়ে যাচ্ছে সুপারমার্কেটের খাবার

শ্রীলঙ্কার একটি সুপারমার্কেটের সামনে মানুষজনের লাইন
ছবি : এএফপি

শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকসংকট ক্রমাগত তীব্র হচ্ছে। এর মধ্যেই রাজধানী শহর কলম্বোর সুপারমার্কেটগুলোতে দ্রুত খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য ফুরিয়ে যাচ্ছে। সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মানুষ রান্নার গ্যাস, কেরোসিন, পেট্রল, চিনি, গুঁড়াদুধ ও ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য কয়েক দিন ধরে লাইনে অপেক্ষা করছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার ৫৭ লাখ নাগরিকের জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। এর মধ্যে ২৩ লাখ শিশুও রয়েছে। খবর এএনআই–এর

চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (সিসিটি) তথ্য অনুযায়ী, কলম্বোর সুপারমার্কেটগুলোর অর্ধেক তাক খালি হয়ে গেছে। অসংখ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিশেষ করে ডিম ও পাউরুটির মতো পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। কলম্বোয় খাদ্য ও পরিবহন খরচ দ্রুত বেড়ে লাগামছাড়া হয়ে গেছে।

সিসিটিকে স্থানীয় বাসিন্দা নুয়ান বলেন, ‘খাবারের দাম অনেক বেশি। এ বছরের শুরু থেকেই এ দাম বাড়তে থাকে। বিশেষ করে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে খাবারের দাম অনেক বেড়ে যায়। এরপর এপ্রিল মাস থেকে খাবারের দাম আরও বাড়ে। মে মাসের শেষ দিকে খাবারের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাবারের মূল্য আরও বাড়ে। পরিবহন খরচ বেড়ে গেলে তা আরও বাড়ে।

খাদ্যঘাটতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া জ্বালানির ঘাটতিতে পরিবহনশিল্প ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। কলম্বোর টুকটুক পরিবহনের চালক জীবন আরাজি বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে কোনো ব্যবসা করা যাচ্ছে না। কারণ, তেলের সংকট। গত ২ মাসে মাত্র ১০ থেকে ১২ লিটার তেল পেয়েছি। এ তেল ব্যক্তিগত কাজেই লেগে যায়। তাহলে কীভাবে ব্যবসা করব? কোনো ব্যবসা হচ্ছে না।’

কয়েক দিনের অনিশ্চয়তার পর সিঙ্গাপুরে পালিয়ে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। বিক্ষোভের মুখে গত বুধবার প্রথমে তিনি মালদ্বীপে পালিয়ে যান। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত শুক্রবার দেশটির ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রনিলকে সমর্থন দেওয়া হবে। ২০ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।