দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এক বৃদ্ধাসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বলছেন, আজ বৃহস্পতিবার জেনিন শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী এ অভিযান চালায়। এ সময় একটি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডেও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৯ জন নিহত ছাড়াও অনেকেই আহত হয়েছেন। পৃথক আরেক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা অভিযোগ করেন, দখলদার সেনারা জেনিন সরকারি হাসপাতালে হামলা চালায়। এ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মহামারি বিভাগে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। তিনি বলেন, শরণার্থীশিবিরের অবস্থা খুবই জটিল। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতেও বাধা দিচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছে, জেনিনে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
আজকের এ অভিযানে নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা হিসাব করলে এ বছরে ইতিমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে যোদ্ধা ও বেসামরিক লোকজনও রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতেই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
জেনিনের উপগভর্নর কামাল আবু আল-রুব বলেন, পশ্চিম তীরের লোকজন যুদ্ধাবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। ইসরায়েলি বাহিনী সবকিছু ধ্বংস করছে এবং যাঁরা নড়াচড়া করছেন, তাঁদেরই গুলি করছে।
২০২২ সালে ইসরায়েলে ২৬ ও ফিলিস্তিনে ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই পশ্চিম তীরের। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক নীরবতার মধ্যেই জেনিনে এ হামলা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চুপ থাকার কারণে দখলদার সরকার এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে উৎসাহ পাচ্ছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রসকে জেনিনের ঘটনায় দ্রুত বৈঠক করার আহ্বান জানিয়েছে।