মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা এখন দেশটির বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে
মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা এখন দেশটির বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে

মিয়ানমারে স্নাইপারের গুলিতে হেলিকপ্টারে থাকা সেনা কর্মকর্তা নিহত

মিয়ানমারে একটি হেলিকপ্টারে থাকা এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য স্নাইপারের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের থিনগানিনাউং শহরে হেলিকপ্টারটি অবতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত ওই ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নাম আয়ে মিন নাউং। তাঁর এক ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও হেলিকপ্টারের দুই পাইলটও নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন। তবে হেলিকপ্টারে থাকা বাহিনীর আরও দুই সদস্য জীবিত আছেন।

যদিও কতজন স্নাইপার এই হামলা চালিয়েছেন, তা জানায়নি ওই সূত্র। হামলার দায়ও কারও ওপর চাপানো হয়নি। তবে কয়েক মাস ধরে থিনগানিনাউং শহরের নিকটবর্তী দেশটির মিয়াওয়াদ্দি শহর ঘিরে নিয়মিত জান্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সংঘাত চলছে।

শুধু দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিয়াওয়াদ্দি শহরই নয়, মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। অনেক অঞ্চলই জান্তার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন বিদ্রোহীরা। চলমান এই সংঘাতের মধ্যে সর্বশেষ কোনো ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিহতের ঘটনা ঘটল আজ।

এর আগে গত নভেম্বরে চীন সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের মোনেকোয়ে শহরে ড্রোন থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে আরেকজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিহত হন। নভেম্বরেই দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছিলেন বিদ্রোহীরা। তবে তা নাকচ করেছিল জান্তা সরকার।

২০২১ সালে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে জান্তা বাহিনী। এর পর থেকে ভিন্নমতের ওপর তারা শুরু করে ব্যাপক দমন-পীড়ন। এসবের জেরে জান্তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠীর তৎপরতায় বর্তমানে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে জান্তা সরকার।